রামপুরহাট:  'আমাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবে যুক্ত নই। বাড়িতে ছিলাম। ঘটনার পর খবর পাই'। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat) সিবিআইয়ের (CBI) জেরায় দাবি ধৃত তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের (Anarul Hossian)। এ কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। খবর সিবিআই (CBI) সূত্রে। এ ছাড়া, আজ সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে যাচ্ছে সিবিআইয়ের (cbi) একটি দল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রামপুরহাটে ডাকা হয়েছে মিহিলাল শেখকে। রামপুরহাটকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী কারা? খুঁজছে সিবিআই। 


রামপুরহাটকাণ্ডে (Rampurhat Violence) সিবিআইয়ের স্ক্যানারে তৃণমূল (TMC) নেতা আনারুল।  গতকাল তাঁকে থানা থেকে আনা হয় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে। আনারুল-সহ ৪ জনকে সিবিআই অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আনারুল Anarul Hossian) ও আজাদ চৌধুরীকে একসঙ্গে বসিয়ে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। ভাদু শেখ (Bhadu Sheikh) খুনের পর আনারুল-আজাদের ফোনে কথা হয় বলে অভিযোগ। 


রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গতকাল থেকে বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআই। তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে ঘটনার রাতের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়েছে। সূত্রের খবর, গ্রামবাসীদের ওই ফুটেজ দেখিয়ে দুষ্কৃতীদের শনাক্তকরণের চেষ্টা হবে। এর পাশাপাশি, বয়ান রেকর্ড করতে শুরু করে সিবিআই। প্রথমে তারা যায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Rampurhat Medical College and Hospital)। সেখানে ভর্তি এক নাবালক ও তিন মহিলা-সহ ৪ জন।


সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে ৩ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের ভূমিকা কী ছিল তাও জানতে চান তদন্তকারীরা। ওই রাতে কী ঘটেছিল? এবং আনারুলের ভূমিকা কী ছিল? তা জানতে চাওয়া হয় দফায় দফায়। খবর সিবিআই সূত্রে। 


আরও পড়ুন: Bharat Bandh Train Disruption : দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক, দিকে দিকে রেল অবরোধ


আরও পড়ুন: Rampurhat Fire: এ বার নিহতের আত্মীয় মিহিলালকে তলব গোয়েন্দাদের, সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ