সম্প্রতি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতনের একাংশে রাস্তায় পাঁচিল দেওয়ায়, বীরভূম সফরে এসে পূর্ত দফতরের রাস্তা ফেরত নেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ৩.৯ কিলোমিটার সেই রাস্তা ফেরতের দাবিতেই আজ ঘণ্টাখানেকের প্রতীকী অনশন অবস্থানে বসেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিকে, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আবার অবস্থানে বসেছেন পড়ুয়াদের একাংশ।
ছাতিমতলায় এই অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন অধ্যাপক, কর্মী ও পড়ুয়াদের একাংশ। উল্টোদিকে গেটের বাইরে উপাচার্যর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন কয়েকজন পড়ুয়া। দিন কয়েক আগে রাজ্য সরকারের রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানানো পরই অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে রাস্তাটি নতুন করে উদ্বোধন হয়। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে করা হয় বাইক মিছিলও।
গতকালই বিজেপি-র পক্ষ থেকে পতাকাহীন একটি মোমবাতি মিছিল বের হয়েছিল রাস্তা অধিগ্রহণের দাবিতে। এদিকে এদিন সকালে যখন ছাতিমতলায় অনশন অবস্থানে বসছেন উপাচার্য সহ একাধিক শিক্ষক-পড়ুয়া তখন সেই এলাকায় বিজেপি-র একাধিক পতাকা দেখা যায়। নিরাপত্তারক্ষীরা তা দ্রুত সরিয়ে দিলেও শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপির দাবি, তাদের বদনাম করতেই এটা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। তৃণমূলের কটাক্ষ, শান্তিনিকেতনকে রাজনৈতিক আখড়ায় পরিণত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্বভারতী নিয়ে বঙ্গের রাজনৈতিক তরজা চড়ছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরে সফর করেন। বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্যকে নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-র মধ্যে চলে টানাপোড়েন।
এমনকি বিশ্বভারতীতে জমি বিতর্কে জড়িয়ে যায় অমর্ত্য সেনের নামও। যা নিয়েও বাড়ে রাজনৈতিক পারদ। গোটা ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় নোবেলজয়ীও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্ববারতীর উপাচার্যের নিরপেক্ষতা নিয়ে।