ভোটের রণকৌশল নিয়ে এদিন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ঘণ্টাখানেক বৈঠক করে। তৃণমূল সূত্রের খবর, সেখানে তিনটি বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। প্রথমত, দল থেকে কারা চলে গেলেন, আর কারা যেতে পারেন, তা উপেক্ষা করুন। দ্বিতীয়ত, তৃণমূলের যাবতীয় কর্মসূচি ঐক্যবদ্ধ ভাবে পালন করতে হবে। আর তৃতীয়ত, আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। ২০২১ সালে আমরাই ফের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, দলে লাগাতার ভাঙন দেখে সেনাপতিরা যাতে বিমর্ষ হয়ে না পড়েন, সেদিকে তাকিয়েই নেত্রীর এই ভোকাল টনিক। শুক্রবারের বৈঠকে তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটিতে তিনজনের শূন্যস্থান পূরণ করা হয়েছে। এর আগে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁদের জায়গায় আনা হয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য় এবং মলয় ঘটককে। প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে দলের রাজ্যসভা সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীকে।
এদিনের ওয়ার্কিং কমিটিতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সুব্রত মুখার্জি, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপৈধ্য়ায়, অরূপ বিশ্বাস, অনুব্রত মণ্ডলের মতো তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন ওয়ার্কিং কমিটির অন্য সদস্যরাও।
দলীয় সূত্রে খবর, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা মৌখিক রিপোর্ট দেন। নেত্রীকে তাঁরা আশ্বাস দেন, বাংলার মানুষকে মমতা সরকার যে আর্থ-সামজিক পরিষেবা দিচ্ছে, তাতে রাজ্যবাসীর আস্থা রয়েছে। দুয়ারে সরকার, বঙ্গধ্বনির মতো কর্মসূচিতে ভাল সাড়া মিলছে।