কলকাতা: একদিকে শক্তি প্রদর্শন, অন্যদিকে মজবুত জোট বার্তা দিতে কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ ভাবে ব্রিগেড সমাবেশ করতে চায় সিপিএম। বিধানসভা ভোটের আগে ফেব্রুয়ারি বা মার্চে ব্রিগেড সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, সিপিএম নেতৃত্ব চায়, ব্রিগেডের সভায় উপস্থিত থাকুন ওয়েনাড়ের সাংসদ তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের উপর ছাড়া হয়েছে।
সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, জোট হবে, আসন সমঝোতা হবে, কে কত আসন পাবে তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। ব্রিগেড হবে, তবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটের কে মুখ্যমন্ত্রী হবে, তা নির্বাচনের ফলের পর সিদ্ধান্ত হবে।
বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে সোমবার প্রদীপ ভট্টাচার্যের বাড়িতে বৈঠক করেন আব্দুল মান্নান।প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, আমাদের বামপন্থী দলগুলির সঙ্গে একটা সমঝোতার বিষয় আসছে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করছি...আরও অনেক মিছিল করতে চাই।
এদিকে, আসন সমঝোতা ও যৌথ কর্মসূচি নিয়ে বামেদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান ও নেপাল মাহাতোকে নিয়ে কমিটি তৈরি করেছে এআইসিসি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বাধীন এই কমিটি বামদলগুলির সঙ্গে আলোচনা করবে।
গতমাসেই অধীর ঘোষণা করেছিলেন, কংগ্রেস বামদলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে রাজ্যের আগামী বিধানসভা ভোটে লড়াই করবে। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও জোট বেঁধে লড়াই করেছিল বাম ও কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, রবিবার কলকাতায় দলের এক অনুষ্ঠানে ইয়েচুরি বলেছিলেন যে, রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপিকে হারাতে বিকল্প নীতি গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেছিলেন, বিজেপি ও তৃণমূল-উভয়েই রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনকে দ্বিমুখী লড়াইয়ের ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত করার চেষ্টা করবে। এই দুই শক্তিকে হারাতে চাইলে বিকল্প নীতি গ্রহণের প্রয়োজন।
ইয়েচুরি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে এখন সরকার বিরোধী মনোভাব রয়েছে। মানুষের মনে সরকার সম্পর্কে অসন্তোষ রয়েছে। সেইসঙ্গে রাজ্যে বিদ্বেষের পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে। কোভিড অতিমারীর সময় সাধারণ মানুষের পাশে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন।
ইয়েচুরির অভিযোগ, বিজেপি ও আরএসএস দেশের সংবিধানকে ধ্বংস করতে চাইছে। দেশে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ বহাল রাখতে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে ভোটে তাদের হারাতে হবে।