কলকাতা: এপ্রিলের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা ভোটপর্ব মিটতে পারে।  এমনই ইঙ্গিত মিলেছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। গতকালই জানা গিয়েছিল, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিই জারি হতেপারে ভোটের বিজ্ঞপ্তি। এরইমধ্যে জানা গেল,  বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।উপ নির্বাচন কমিশনার ফেরার পরেই আসছে ফুল বেঞ্চ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বে আসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলার  ডিএম-এসপিদের পাশাপাশি প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক হবে।   কথা হবে বিভিন্ন রাজ্যনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও। শুক্রবার কমিশনের ফুল বেঞ্চ ফিরে যাবে। তার আগে সংবাদমাধ্যমেরও মুখোমুখি হতে পারে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।


এর আগে উপনির্বাচন কমিশনার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এ ব্যাপারে কমিশনের ফুল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ কী হয়, তা এখন দেখার।

রাজ্যে এসে বুধবার দু’দফায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের বৈঠক করেন উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।নির্বাচন কমিশন সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, এপ্রিলের মধ্যে বাংলায় বিধানসভার ভোটপর্ব শেষ করার চেষ্টা করা হবে। আগের সব নির্বাচনের থেকে এবার রাজ্যে বেশি সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে।সেইসঙ্গে বুথ সংখ্যাও ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।বুথ সংখ্যা বাড়ছে বলে সবকটি জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন  কমিশন।  বুধবার উপ নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠকে ছিলেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার। দ্বিতীয় দফার বৈঠকে শুধু জেলাশাসকরা ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর,ভোট প্রক্রিয়ায় যুক্ত ব্যক্তিদের গাফিলতি দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ডেপুটি কমিশনার।বলেন, শোকজ করার আগেই ভোটের কাজ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরাতে হবে।

রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন উপ নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর,  কলকাতা ও ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের কাছে তিনি জানতে চান, ভোটের আগে এত হিংসা হচ্ছে কেন?বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন?ব্যারাকপুরে ৬ মাস আগের পরিস্থিতি এখন কতটা পাল্টেছে?

ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলা ও বীরভূম,নদিয়া এবং হুগলির পুলিশ সুপারের কাছেও বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার।

এদিনই একুশের ভোটের আগে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।রাজ্যে ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৩২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৮০। ভোটারের সংখ্যা বাড়ল ২০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৯৩।তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যাও বাড়ল।