শুভেন্দু ভট্টাচার্য ও মুন্না আগরওয়াল ,কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর: পুরভোটে (WB Muncipal Election 2022) অশান্তি ছড়াল কোচবিহার (cooch behar) ও দক্ষিণ দিনাজপুর (south dinajpur) জেলাতেও। তুফানগঞ্জে এক বিজেপি প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তা মানতে চায়নি শাসক দল। পরে প্রার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ। কোচবিহারের একটি বুথে পাকড়াও তৃণমূলের ভুয়ো পোলিং এজেন্ট। অন্যদিকে, বালুরঘাটে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সুকান্ত মজুমদার।
কোথাও বিজেপি প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ। কোথাও ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ধরা পড়লেন তৃণমূলের ভুয়ো পোলিং এজেন্ট, তো আবার কোথাও বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
পুরভোট নিয়ে এভাবেই একের পর এক ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত থাকল কোচবিহার থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর। রবিবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ পুরসভার
১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রসেনজিৎ বসাককে অপহরণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে, বাধা দেওয়া হয় স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা রায়কে।
সূত্রের খবর, তিনি এলাকার ভোটার না হওয়ায় যেতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় বিজেপি বিধায়ক। পরে পুলিশ অবশ্য দাবি করে, আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থেকে উদ্ধার করা হয় বিজেপি প্রার্থীকে।
এরপরই পুনর্নির্বাচনের দাবিতে মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন তিনি। অন্যদিকে, তুফানগঞ্জেরই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টকে বুথে যেতে বাধা দেওয়া ও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে।
যদিও তা অস্বীকার করে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের ভুয়ো পোলিং এজেন্টকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় কোচবিহার পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ, এই ব্যক্তি ছাপ্পা ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে পুলিশ আটক করে অভিযুক্তকে।
তৃণমূল বহিরাগতদের জমা করছে। এই অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয় কোচবিহারের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দি হাইস্কুলের বুথের সামনে। বিজেপির অভিযোগ, এলাকার ভোটার না হয়েও বুথে ঢোকেন কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল নেতা আজিজুল হক। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আবার কংগ্রেস প্রার্থী রানা ইশোরের এজেন্টের কার্ড ছিনিয়ে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে ওই ওয়ার্ডের ভোটার ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শুভজিৎ কুণ্ডুর মধ্যস্থতায় কংগ্রেস প্রার্থীর এজেন্টের কার্ড ফেরানো হয়। বুথে ঢুকতে পারেন তিনি।
অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে বঙ্গের শাসক দল।