সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর:  বিধানসভা ভোটে হারের পর থেকেই, কামিনী-কাঞ্চন ইস্যুতে, বঙ্গ বিজেপিকে (West Bengal BJP) লাগাতার নিশানা করে চলেছেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় (tathgata Roy)। গত ১৫ জানুয়ারি তথাগত রায় ট্যুইট করে বলেন, ' গুরুতর অসুখ চেপে রেখে তাকে নিরাময় করা যায় না। বরং তাতে দ্রুত মৃত্যু ঘটতে পারে। কামিনী-কাঞ্চন যোগে এই অসুখের সূত্রপাত। বিধানসভা ও পুরভোটের ফলাফলে বিপর্যয়ের পরেও যা সারানোর কোনও উদ্যোগ নেই। বঙ্গ বিজেপি কী নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে? '


এবার পুরভোটের (Municipal Election) পর, টিকিট বন্টন ঘিরে সেই কামিনী-কাঞ্চন বিতর্ক মাথাচাড়া দিল পশ্চিম মেদিনীপুরে। যার কেন্দ্রে রয়েছে এই ফেসবুক পোস্ট। তৃষা চাকলাদার চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলা এই পোস্ট করেছেন। তিনি নিজেকে বিজেপির মহিলা মোর্চার মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক বলে দাবি করেছেন।  মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার আওতায় দুটি পুরসভা রয়েছে। এর মধ্যে খড়গপুরে ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আর ২৫ ওয়ার্ডের মেদিনীপুর পুরসভায় গেরুয়া শিবিরের প্রাপ্তি শূন্য। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফের অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 


তিনি লিখেছেন, 'বিজেপির যে মণ্ডল ও জেলা পদাধিকারীরা কাউন্সিলর হওয়ার টিকিট পেল, তাদের বেশিরভাগের জামানত জব্দ। এবার উচ্চনেতৃত্বের কাছে প্রশ্ন, যে কী এমন দেখে এদের টিকিট দিয়েছিলেন? কামিনী নাকি কাঞ্চন? ' 




আরও পড়ুন :


তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ, কী কী বিষয়ে অভিষেককে প্রশ্ন করল ইডি?


যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি তিনি। এবিপি আনন্দকে তিনি বলেন, ' দেখুন সব কিছুই ভিত্তিহীন, তা তো নয়। একটা পোস্ট যখন করেছি কিছু একটা ভেবে করেছি। এখন এবিষয়ে মুখ খুলব না। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি সামনে আসবে। তখন সবাই বুঝতে পারবে।'


এদিকে ওই জেলার বিজেপি নেতৃত্ব ওই মহিলাকে সরাসরি পার্টির কেউ নয় বলে দিয়েছে। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি অফিস সম্পাদক চন্দন কুমার ঘোষ বলেন, ' উনি এখন পার্টিতে নেই। সাসপেন্ড করা হয়েছে। '