বেঙ্গালুরু: রাতের (night) অন্ধকার (dark) থাকা সত্ত্বেও আকাশের (sky) বেশ কিছুটা জুড়ে ঝলমল করবে আলো, ছড়িয়ে যাবে আভা। কেন? কারণ ঝাঁকে ঝাঁকে উল্কাপাত (meteor shower) হতে থাকবে সেই সময়ে। সুনির্দিষ্ট করে বললে 'মাহেন্দ্রক্ষণ' শুরু হচ্ছে ১৩ ডিসেম্বর রাত থেকে। দেখা যাবে ১৪ ডিসেম্বর ভোরের আলো না ফোটা পর্যন্ত। তবে বেঙ্গালুরুর (bengaluru) বাসিন্দারাই এই দুরন্ত মহাজাগতিক 'আলোর খেলা' দেখতে পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা পৃথিবী থেকে নানা সময়ে যত উল্কাবৃষ্টি দেখা গিয়েছে তার অন্যতম উজ্জ্বল পর্বটির সাক্ষী থাকতে চলেছে বেঙ্গালুরু।
কী হতে চলেছে?
বিজ্ঞানীদের মতে, ১৩ ডিসেম্বর রাত ২টো থেকে ৩ টের মধ্যে উল্কাবৃষ্টির তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকবে। সে সময়ে খালি চোখেই আকাশে 'আলোর খেলা' দেখতে পাবেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দারা। অঙ্কের হিসেব বলছে, শতাধিক উল্কা এই পর্বে একে অন্যের গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বেরিয়ে যাবে। তবে তাদের সকলকে দেখতে পাবেন না বেঙ্গালুরুর মানুষ। যাঁরা এই মহাজাগতিক 'লাইট শো'-র প্রতি মুহূর্ত চেটেপুটে উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য একটি পরামর্শ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। এমন কোনও জায়গা যেখান থেকে আকাশের ঘন কালো রং স্পষ্টতর দেখা যায়, বেছে নিতে হবে। তা হলে উল্কাবৃষ্টি উপভোগ করার সম্ভাবনা আরও বাড়বে। কেন? বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, কোন জায়গা থেকে এই মহাজাগতিক ঘটনা কতটা দৃশ্য়মান হবে তার অনেকটাই চাঁদের আলোর উপর নির্ভর করছে।
কোথা থেকে উল্কাপাত...
'3200 Pantheon' নামে এক মহাজাগতিক 'অবজেক্ট'-র সঙ্গে এই উল্কাবৃষ্টির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর সঙ্গে লেপ্টে থাকা বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে এই 'অবজেক্ট' থেকে ছিটকে আসা গুঁড়োগুলির সংঘর্ষ হলেই সেগুলি জ্বলে ওঠে। এরই নাম Geminid Meteor Shower। নাসার এক বিজ্ঞানীর দাবি, চূড়ান্ত পর্যায়ে এই উল্কাপাতের সংখ্যা ঘণ্টায় ১০০-১৫০ পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলতে পারে। তবে এত সংখ্যক উল্কাপাত খালি চোখে দেখা যাবে কিনা, তা নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ঘণ্টায় ৩০-৪০টি উল্কাপাত দেখা যেতে পারে, পূর্বাভাস তাঁর। আপাতত এই মহাজাগতিক লাইট শো দেখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বেঙ্গালুরুর জওহরলাল নেহরু তারামণ্ডল। এছাড়াও আলাদা ভাবে বেশ কিছু শিবিরের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:'এটা ওনার মস্তিষ্ক প্রসূত নয়', পার্থ মুখ খুলতেই দাবি শমীকের, কী প্রতিক্রিয়া কুণাল-সুজনের ?