জেরুসালেম: ইরান-আমেরিকা সংঘাতে উত্তাপ বাড়ছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়। গত সপ্তাহে ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতা মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানির মার্কিন ড্রোন হামলায় হত্যার পাল্টা তেহরানের তরফে একঝাঁক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ হয়েছে ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটির ওপর। উত্তেজনার পারদ যখন এভাবে চড়ছে, তখন চিরশত্রু ইরানকে আগাম হুঁশিয়ারি দিল ইজরায়েল। যে-ই আমাদের আক্রমণ করুক. সজোরে প্রত্যাঘাত করব, জেরুসালেমে এক সম্মেলনে বললেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু।
গত সপ্তাহে মার্কিন হামলার নিশানা হওয়া ইরানের রিভল্যুশনারি গার্ডসের বিদেশি অপারেশন শাখার কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে ‘টেররিস্ট-ইন-চিফ’ বলেছেন নেতানইয়াহু। তাঁর দাবি, কাসেম সোলেমানি অসংখ্য নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। দশকের পর দশক একাধিক দেশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করেছেন তিনি। ভয়, আতঙ্ক, দুর্দশা, ক্ষোভের বীজ ছড়িয়েছেন, তার থেকেও খারাপ কিছু করার পরিকল্পনা করছিলেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও গোটা দুনিয়ায় ইরানের সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযানের স্থপতি ও চালক ছিলেন বলেও মন্তব্য করেছেন নেতানইয়াহু।
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সোলেমানি মেরে ফেলে দ্রুততার সঙ্গে সাহসী, স্পষ্ট পদক্ষেপ করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন নেতানইয়াহু।
মার্কিন ড্রোন হামলার জবাবে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আমেরিকা, তার প্রধান সহযোগীরা সতর্ক হচ্ছে। এবার আমেরিকা নতুন করে সামরিক পদক্ষেপ করলে ইজরায়েলের দুই শহর হাইফা, তেল আভিভকে গুঁড়িয়ে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইরানের জনৈক শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তা। এবার তার জবাবে মুখ খুললেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।