নয়াদিল্লি: করোনার জেরে স্মার্টফোনের ব্যবহার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ফলে দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে মোবাইলের ব্যাটারি। স্মার্টফোনে আজকাল বড়সড় ব্যাটারি দিচ্ছে কিন্তু তা সত্ত্বেও গোটা একদিনও ব্যাটারি চলছে না।


কম ব্যাকআপের বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। চলুন, এমনই কিছু কারণ জেনে নেওয়া যাক, যার ফলে স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়তে পারে।

খারাপ ব্যাটারি ব্যাকআপের সব থেকে বড় কারণ ফোনের ডিসপ্লে ব্রাইটনেস ফুল রাখা। এর ফলে বেশি ব্যাটারি খরচ হয়। তাই ব্রাইটনেস প্রয়োজন অনুযায়ী সেট করুন, বা ব্যবহার করুন অটো ব্রাইটনেস মোড। এতে ব্যাটারি খরচ কম হয়, আপনার ফোনও ঘন ঘন চার্জ ছাড়া বেশিক্ষণ চলবে।

স্মার্টফোনের স্ক্রিন অন টাইম কম করেও ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়াতে পারবেন। এ জন্য ১৫ সেকেন্ডের স্ক্রিন টাইমআউট ব্যবহার করুন। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, ১৫ সেকেন্ডের স্ক্রিন টাইমআউট একদম ঠিক।

ফোন বার বার চার্জে বসাবেন না। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, ৪০-৫০ শতাংশ ব্যাটারি থাকলেও লোকে ফোন চার্জে বসিয়ে দিচ্ছে। ২০ শতাংশের নীচে ব্যাটারি নেমে গেলে তবেই চার্জে বসান, আর মনে রাখবেন, কখনও পুরো ১০০ শতাংশ চার্জ করাবেন না। ৯০ শতাংশ হয়ে গেলেই চার্জ বন্ধ করুন, এতে ব্যাটারি বেশিদিন টেকে।

ফোনে ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, জিপিএসের নিয়মিত ব্যবহার করি আমরা। কিন্তু ব্যবহারের পর তা বন্ধ করতে ভুলে যাই। এতে নষ্ট হয় ব্যাটারি।

ফোন সারাক্ষণ ভাইব্রেট মোডে রাখাও খারাপ, এতে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়। তা ছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাইব্রেট মোড ক্ষতিকর। ফোন ছুঁলে বা কোনও বোতাম টিপলে যে ভাইব্রেশন হয় তাও বন্ধ রাখা উচিত, তাতেও ব্যাটারির ক্ষতি হয়।

যে ফোনের যে চার্জার, চার্জ দেওয়ার সময় সেই চার্জারই ব্যবহার করবেন। অন্য ফোনের চার্জার আপনার ফোন আর ব্যাটার দুটোই খারাপ করতে পারে। নকল চার্জার ব্যবহার কক্ষণও করবেন না।