নাগেশিয়া বলেছেন, মেয়ে যখন বলল অনলাইন ক্লাস করার কোনও মোবাইল বা ওই ধরনের কিছু নেই, খুব কষ্ট হয়। ওর ডাক্তার হয়ে মানবসেবার স্বপ্ন। ডাক্তারি করতে চায়। আর জেলে থাকার সময় আমি উপলব্ধি করেছি, পড়াশোনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ওর স্বপ্নপূরণে যাতে কোনও বাধা না আসে, সেটা সুনিশ্চিত করতে আমার চেষ্টার খামতি থাকবে না।
অম্বিকাপুর সেন্ট্রাল জেলের সুপার রাজেন্দ্র গায়কোয়াড় জানিয়েছেন, ও সহ ১৯জনের নাম সরকারের কাছে পাঠিয়ে সুপারিশ করা হয়, সামগ্রিকভাবে জেল খাটার সময় ভাল আচরণ করায় সাজা কমিয়ে আগে ছেড়ে দেওয়া হোক ওদের। সারা জীবন জেল খাটার সাজাপ্রাপ্ত নাগেশিয়াকে দেখেছি একেবারে বদলে গিয়েছে। ভাল মানুষ হয়ে উঠেছে। তাই ওকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নাগেশিয়ার মেয়েকে নিজের আয়ের টাকায় স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করে গায়কোয়াড় জানিয়েছেন, উনি পরিবারের মেয়েদের শিক্ষার গুরুত্ব দেওয়ার ব্যাপারে একটা উদাহরণ তৈরি করলেন। জেলের কয়েদিরা আধা দক্ষ শ্রমের জন্য দিনে ৬০ টাকা, স্কিলড শ্রমের জন্য ৭৫ টাকা করে ইনসেনটিভ পান। আগে এই টাকার পরিমাণ অনেক কম ছিল, ক্রমশ বেড়েছে। ও পুরো টাকাটাই একটা ভাল কাজে খরচ করল।
জেলে থাকাকালে নাগেশিয়া বাগান করা, প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায় ছুতোরের কাজ শেখেন। তিনি বলেছেন, দুই ভাই সহ আমাদের পরিবারের ৩ একর চাষের জমি আছে। সেখানে হর্টিকালচারের কাজ করে নিশ্চিত আয়ের ব্যবস্থা করব, এমনটাই ভাবছি।