পঠানকোটে সুরেশ রায়নার আত্মীয় খুন হয়েছিলেন। এই কারণেই তিনি দেশে ফিরেছেন বলে কোনও কোনও মহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল।
রায়নার দুই সন্তানই ছোট। এই কারণেও তিনি দেশে ফিরে আসতে পারেন-এমনটাও কেউ কেউ অনুমান করেছিলেন।
কিন্তু এমন যদি কারণ হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠছে, তিনি দুবাই যাওয়ার সিদ্ধান্তই বা নিলেন কেন?
দুবাই যাওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় রায়না লিখেছিলেন যে, তিনি আইপিএলে খেলতে মুখিয়ে রয়েছেন।
দুবাই পৌঁছেও বেশ ভালো মুডে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় দলের প্রাক্তন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। র্যাপ গানের ভিডিও-ও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আচমকাই এমন কী ঘটে গেল যে, রায়না দেশে ফিরে এলেন?
কোনও আত্মীয়র মৃত্যু কারণ হলে তিনি দেশে ফিরে কিছুদিন পরে ফের সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যেতে পারতেন..
কেননা, আইপিএল শুরু হতে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি।
তাহলে কী ঘটল?
চেন্নাই সুপার কিংস সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, রায়না হোটেলের রুম নিয়ে খুশি ছিলেন না। এজন্য টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে নিজের অসন্তোষের কথা জানান তিনি। কিন্তু বায়ো বাবল সেট আপে আগে থেকেই সব কিছু ঠিক হয়েছিল। সেজন্য রায়নার জন্য ভিন্ন কামরার বন্দোবস্ত করা যায়নি।
সূত্রের খবর, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে হোটেলে সবচেয়ে সুন্দর কামরার মধ্যে একটি দেওয়া হয়েছে, যাতে রয়েছে ব্যালকনি। কিন্তু অন্য খেলোয়াড়দের এমন কামরা দেওয়া হয়নি।
দল সূত্রের খবর, ক্ষুব্ধ রায়না দেশে ফেরার কথা জানালেও চেন্নাই সুপার কিংস ম্যানেজমেন্ট তাঁকে আটকায়নি।
দলীয় সূত্রে এই খবর পাওযা গিয়েছে।
এবারের আইপিএলে রায়নাকে ১১ কোটি টাকায় দলে রেখেছে সিএসকে।
রায়নার প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্র মারফত্ আরও জানা গেছে, দলের অধিনায়ক ধোনি রায়নার সঙ্গে কথা বলে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টাও করেছিলেন।
সিএসকে এখনও পর্যন্ত রায়নার বিকল্প কোনও খেলোয়াড় চায়নি। কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে যে, তাদের আশা , রায়না ফের দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।