সভায় কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে রাহুল বলেন, নোটবন্দি করে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা নষ্ট করেছে মোদি সরকার। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বেকারত্বের হারের বিষয়টি। গত ৪৫ বছরে বেকারত্বের হারও এই আমলে সবথেকে বেশি, বললেন রাহুল। রাহুল বলেছেন, ভারতের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। বিজেপি জিডিপি পরিমাপের পদ্ধতি পাল্টে দেওয়ার পরও এখন দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশ। আগের পদ্ধতিতে জিডিপি-র পরিমাপ হলে তা হবে আড়াই শতাংশ।
শুক্রবার রাহুলের ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’ মন্তব্যে উত্তাল হয়েছিল সংসদ। তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন বিজেপি সাংসদরা। এদিন ভাষণ রাহুল গাঁধী স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরই দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আমার নাম রাহুল গাঁধী, রাহুল সাভারকর নয়, আমি সত্যের সপক্ষেই থাকব।’
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পর উত্তর-পূ্র্বে বিক্ষোভ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করে রাহুল অসমকে সংকটের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘দেশে বিভাজন ঘটাচ্ছেন মোদি।’
প্রিয়ঙ্কার ভাষণেও রাহুলেরই সুর। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘স্বৈরতান্ত্রিক কাজকর্ম’ ও মোদি জমানার বেহাল অর্থনীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনিও। দিল্লির ঐতিহাসিক রামলীলা শনিবার প্রিয়ঙ্কা প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, ‘‘অম্বেদকরের হাতে বানানো সংবিধানটা এই সরকার শেষ করে দেবে। বিজেপি সরকারের ৬ বছর হয় গেল। চাকরির নতুন সুযোগ তৈরি হওয়া তো দূরের কথা, বহু মানুষ চাকরি খোয়াতে শুরু করেছেন।’’
তাঁর কথাতে উঠে এল জিএসটি প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, জিএসটির জন্য ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে খুব। চরম ভোগান্তি হচ্ছে কৃষকদের।
সমাবেশে আসার আগেই সকালে তাঁর টুইটে তোপ দাগেন রাহুল। লেখেন, ‘‘মোদি সরকার দেশের ‘অর্থনীতিকে আইসিইউ-তে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) পাঠিয়ে দিয়েছে। স্বৈরতন্ত্র চলছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে।’’