কলকাতা: আজ, শুক্রবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি ব্যবস্থা পর্যালোচনা সহ একাধিক দাবিতে দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। জানা গিয়েছে, এই বনধকে সমর্থন করেছে প্রায় ৪০ হাজার ব্যবসায়ী সমিতি। দেশজুড়ে দেড় হাজার জায়গায় ধরনার আহ্বান জানানো হয়েছে। অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনও এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। এদিন চাক্কা জ্যাম করতে পারে বনধ সমর্থনকারী সংগঠনগুলি।
অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি মহেন্দ্র আর্য বলেন, প্রত্যেক রাজ্য স্তরের পরিবহন সংগঠন এই বনধকে সমর্থন করেছে। লাগাতার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি থেকে ই ওয়ে বিল আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদে নামছি আমরা। একদিন কোনও পরিবহন ব্যবস্থা চালু থাকবে না।
কোন কোন ক্ষেত্রে বনধের প্রভাব পড়বে?
১. ভারত বনধে যে সংগঠনগুলি অংশ নিচ্ছে তাদের আওতাধীন বাজার বন্ধ থাকবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট সংগঠন।
২. সারা দেশজুড়ে রাস্তাঘাটে বনধের প্রভাব পড়বে। অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
৩. বিল সংক্রান্ত পণ্য বা বুকিং বন্ধ থাকবে।
৪. দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেওয়াল জানিয়েছেন, ছোট ব্যবসায়ী, হকার সহ অন্যান্যরা এই বনধে সামিল হবেন।
৫. যারা আন্দোলনে সামিল হবে তারা জিএসটি পোর্টালে লগ ইন করবে না।
কোন কোন ক্ষেত্রে বনধের প্রভাব পড়বে না?
১. জরুরি পরিষেবা যেমন ওষুধের দোকান, দুধ, সবজির দোকানে ভারত বনধের প্রভাব।
২. ব্যাঙ্ক পরিষেবার উপর কোনও প্রভাব পড়বে না।