নয়াদিল্লি: দক্ষিণ থেকে উত্তরে পদযাত্রা হয়েছে। এবার পূর্ব থেকে পশ্চিম। রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কংগ্রেসের (Congress) দ্বিতীয় পদযাত্রার দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছিল আগেই। নামও ঘোষিত হয়েছিল। এবার সেই নামেই সামান্য বদল আনা হয়। 


কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার নাম ছিল ভারত জোড়ো যাত্রা। তাতে ভাল সাড়া মিলেছিল। তারপরেই কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিল হাতশিবির। পূর্ব থেকে পশ্চিমের এই পদযাত্রার নাম প্রথমে হয়েছিল ভারত ন্যায় যাত্রা (Bharat Nyay Yatra))। এবার তাতেই সামান্য পরিবর্তন করে নাম রাখা হল ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা (Bharat Jodo Nyay Yatra)। 'ভারত জোড়ো' শব্দবন্ধের ধারা বজায় থাকল নতুন কর্মসূচির নামেও।   


প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, দল পরে এই কর্মসূচির নামে  'জোড়ো' কথাটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছরের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র প্রভাব বজায় রাখতেই এমন বদল বলে জানিয়েছেন তিনি। রাহুলের এই কর্মসূচির মূল ধারণা কী, সেটাও স্পষ্ট করেছেন তিনি। জয়রাম রমেশ বলেছেন, 'রাহুল গাঁধীর এই কর্মসূচির মূল ভাবনা ন্য়ায়। ভারতের নাগরিকদের জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এই পদযাত্রা কর্মসূচি।'   


রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বাধীন এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ১৪ জানুয়ারি থেকে। হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর (Manipur) থেকে শুরু হবে ওই কর্মসূচি। ৬৬ দিন ধরে তলে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে শেষ হবে এই কর্মসূচি। দলের তরফে জানানো হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করা হবে এর মাধ্যমে। ১৫টি রাজ্য ও ১০০টি লোকসভা কেন্দ্র অতিক্রম করা হবে এই পদযাত্রায়।


মনিপুরের ইম্ফল থেকে শুরু হবে 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা।' মনিপুর, নাগাল্যান্ড, অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় ঘুরে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছবে এই যাত্রা। তারপর ঢুকবে মধ্যভারতে। গোটা কর্মসূচি পায়ে হেঁটে হবে না। বাস থাকবে যাত্রার জন্য। কেন এই সিদ্ধান্ত তাও জানিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। সামনেই লোকসভা নির্বাচন তাই সময় কম রয়েছে, পাশাপাশি দলের প্রবীণ নেতাদের স্বাস্থ্যের দিকটিও খেয়াল রাখতে হয়েছে। 


অনেক আগেই বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে গঠিত হয়েছে I.N.D.I.A. মঞ্চ। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ঘর গোছান, আসন রফার আলোচনাও শুরু হতে চলেছে। তার আগেই কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'য় ওই জোটের শরিক দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কংগ্রেস। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকেও যাত্রায় যোগ দিতে বলা হয়েছে।  


সূত্রের খবর, বাংলায় তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে জোট ও আসন রফার বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনা রাস্তায় হাঁটতে চাইছে কংগ্রেস। তাহলে কি তৃণমূলের নেতারা এই যাত্রায় পা মেলাবেন? তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'মুখে বলে দিলাম সবাইকে চাই, যার যেখানে শক্তি, তাকে কতটা সম্মান দিয়ে আমন্ত্রণ, এগুলোও নির্ভর করবে।'


আরও পড়ুন: তৃণমূলের কাছে ৫-৮টি আসন দাবি! বাম-পথও খোলা রাখতে চায় কংগ্রেস