নিউইয়র্ক : রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার দাবি করলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে। এর পাশাপাশি তিনি ভারত ও জাপানকে "যোগ্য দেশ" হিসাবে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার দাবি জানান। আজ বিশ্বের বাস্তব পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এই পদক্ষেপের কথা বলেন শেরিং। এদিন রাষ্ট্রসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন তিনি। সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে উঠে, টোবগে জলবায়ু সংকট, দারিদ্র এবং সংঘাত মোকাবিলায় পুনরুজ্জীবিত বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, "ভুটান রাষ্ট্রসংঘের সংস্কারকে সমর্থন করে, যার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার, স্থায়ী এবং অস্থায়ী উভয় সদস্যপদ সম্প্রসারণ। সংস্কারকৃত নিরাপত্তা পরিষদে ভারত ও জাপানের মতো যোগ্য দেশগুলির পাশাপাশি অন্যান্য সক্ষম ও নেতৃত্বদানকারী দেশগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যারা আজকের জটিল বাস্তবতা তুলে ধরবে।" রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসনের জন্য ভারতের দীর্ঘদিনের দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শেরিংয়ের মন্তব্য।
তিনি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের UN80 উদ্যোগকে সমর্থন করেন। শান্তি, স্থায়ীত্ব, উন্নয়ন এবং জলবায়ু কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের জন্য রাষ্ট্রসংঘের ক্ষমতা জোরদার করতে "নবীকরণযোগ্য উদ্দেশ্য" অর্জনের আহ্বান জানান। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মহাসচিবের UN80 উদ্যোগ আমাদের নতুন উদ্দেশ্য নিয়ে সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। শান্তি, স্থায়ীত্ব, উন্নয়ন এবং জলবায়ু কর্মকাণ্ডে সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের ক্ষমতা জোরদার করার নতুন উদ্দেশ্য। এর নৈতিক কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন উদ্দেশ্য। আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে এটিকে উপযুক্ত করে তোলার জন্য নতুন উদ্দেশ্য।"
এদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সামনেই পাকিস্তানকে চাঁচাছোলা ভাষায় ধুয়ে দিয়েছেন ভারতীয় কূটনীতিক পেটাল গহলৌত। রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তব্য পেশের সময় পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ দাবি করেন অপারেশন সিঁদুরের নামে ভারত তাদের উপর কোনও প্ররোচনা ছাড়াই আগ্রাসন চালিয়েছে। কিন্তু তারা চার দিনের সংঘাতে সাফল্য অর্জন করেছে । এর জবাব দিতে গিয়ে ক্ষুরধার আক্রমণ শানান ভারতের কূটনীতিক। বলেন, "পাকিস্তানের রানওয়েগুলো যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ছবি যদি পাক প্রধানমন্ত্রীর মতে বিজয় হয়, তাহলে পাকিস্তান তা নিয়ে আনন্দ করুক !"
রাষ্ট্রপুঞ্জে শাহবাজ শরিফ তাঁর ভাষণে কাশ্মীর ইস্যু টেনে বলেন, "আমি কাশ্মীরিদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আমি তাদের সঙ্গে আছি, পাকিস্তান তাদের সঙ্গে আছে, এবং একদিন শীঘ্রই, কাশ্মীরে ভারতের নৃশংসতার অবসান ঘটবে।" শরিফের এই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে সরাসরি সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা বলে আক্রমণ করেন ভারতীয় কূটনীতিক। তিনি একেবারে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়ে বলেন, "পাকিস্তান আগাগোড়া সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে আসছে। ওদের কোনও লজ্জা নেই। বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানই ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয় এসেছে। সে কথা ভোলা চলবে না।"