ভারতীয় সেনাবাহিনী গত মাসেই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটি উত্তর কাশ্মীরে নিজেদের ভিত শক্তিশালী করছে বলে জানিয়েছিল। সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সেক্টর ১০ এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার এন কে মিশ্র বলেন, বেশ কিছুদিন বাদে সন্ত্রাসবাদী বাহিনীর নতুন রিক্রুট হওয়া লোকজন উত্তর কাশ্মীরে মরছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে শুধুমাত্র সক্রিয় রয়েছে লস্কর-ই-তৈবা ও জয়েশ-ই-মহম্মদ। সেনা অফিসারের কথায়, এখানে (উত্তর কাশ্মীর) হিজবুলের সক্রিয়তা খুব কম ছিল। উত্তর কাশ্মীরে হিজবুল নিজের ঘাঁটি আবার নতুন করে ঢেলে সাজার চেষ্টা করছে বলে মনে হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিংহ জানিয়েছেন, নিহত হিজবুল কমান্ডার নাইকুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অবন্তীপোরার সাবির আহমেদকে পাঠানো হয়েছিল বিজেপি নেতা গুলাম কাদিরকে মারার জন্য। মঙ্গলবার রাতে কাদিরের ওপর হামলা হয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মারাত্মক জখম হন কনস্টেবল আলতাফ হুসেন। পরে তিনি মারা যান। চিরঘুমে চলে যাওয়া আলতাফকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ডিজিপি জানান, হামলাকারীদের একজনকে খতম করে নিজে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ওই নিহত হামলাকারী নাইকুর ঘনিষ্ঠ হিজবুলের ওভারগ্রাউন্ড সদস্য সাবির। সম্প্রতি সে জঙ্গি বাহিনীতে ঢুকেছিল। পাকিস্তানের নির্দেশেই তাদের সন্ত্রাসবাদী মঞ্চ দি রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (টিআরএফ) মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের টার্গেট করে খুন করা হচ্ছে বলে জানান ডিজিপি। সন্ত্রাসবাদীদের কাছে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া ‘বড় কোনও বিষয় নয়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।