বিহারের অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোলে ফের একবার এনডিএ-এর ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দ্বারভাঙার আলিনগর আসনটি এবার অনেকেরই নজরে। এখান থেকে BJP র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন লোকসংগীত শিল্পী মৈথিলী ঠাকুর (Maithili Thakur)। গায়িকা হিসেবে বেশ জনপ্রিয় এই মৈথিলী। কিন্তু ইভিএমে কি সেই ভালবাসার প্রতিফলন ঘটবে?
ABP নিউজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে একটি এক্সিট পোল করে। তার ফল বলছে, মৈথিলী ঠাকুরের জয়ের সম্ভাবনা খুব প্রকট নয়। তিনি এই আসনে জয় না-ও পেতে পারে। এখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরজেডি-র প্রার্থী বিনোদ মিশ্রের সঙ্গে।
দ্বারভাঙা জেলায় বিধানসভার মোট ১০টি আসন রয়েছে। এই আসনগুলিতে প্রথম দফায় ৬ই নভেম্বর ভোট গ্রহণ হয়েছিল। দ্বারভাঙা জেলায় গড়ে ৬৩.৬৬ শতাংশ ভোট পড়ে। অন্যদিকে, আলিনগর বিধানসভা আসনে ৬০.৩২ শতাংশ ভোট পড়ে।
দ্বারভাঙায় কে কতগুলি আসন পাবে?
এবিপি নিউজের সমীক্ষা বলছে, দ্বারভাঙার মোট ১০টি আসনের মধ্যে এনডিএ-এর ৬টি আসন যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, মহাজোট এই জেলায় ৪টি আসনে এগিয়ে থাকতে পারে।
সাংবাদিকদের করা সমীক্ষা
- জেলা- দ্বারভাঙা
- মোট আসন- ১০
- এনডিএ- ৬
- মহাজোট- ৪
আলিনগরে কার পাল্লা ভারী?
সাংবাদিকদের বুথফেরত সমীক্ষা অনুসারে, আলিনগর বিধানসভা আসনে মহাজোটের পাল্লা ভারী । আরজেডি-র প্রার্থী বিনোদ মিশ্র এখান থেকে নির্বাচনে জিতে যেতে পারেন। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী লোকসংগীত শিল্পী মৈথিলী ঠাকুর এবং আরজেডি-র প্রার্থী বিনোদ মিশ্রের মধ্যে কড়া টক্কর হতে পারে। এলাকা ঘুরে সাংবাদিকরা মনে করছেন, মৈথিলী বহিরাগত। তাই স্থানীয় বেশ কিছু মানুষ খুশি নন। তাই স্থানীয় মানুষকে টিকিট না দেওয়ার জন্য বিজেপির ভোট ভাগাভাগি হয়ে যেতে পারে। তাই এই সব কারণে মহাজোট জয় পেতে যেতে পারে।
সাংবাদিকদের এক্সিট পোল
- মোট আসন- ২৪৩
- এনডিএ- ১২৫
- মহাজোট- ৮৭
- কড়া টক্কর- ৩১
সাংবাদিকদের এক্সিট পোল অনুসারে, বিহারের মোট ২৪৩টি আসনের মধ্যে এনডিএ ১২৫টি আসন পেতে পারে। অন্যদিকে, মহাজোট পেতে পারে ৮৭টি আসন। এছাড়াও, এই এক্সিট পোল অনুসারে, ৩১টি আসনে এনডিএ এবং মহাজোটের মধ্যে কড়া টক্কর হবে। বিহারে সমস্ত ২৪৩টি আসনে দুটি দফায় ৬ এবং ১১ই নভেম্বর ভোট গ্রহণ হয়েছে। ১৪ই নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের তরফে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
তথ্য সুত্র - এবিপি নিউজ (এখানে ক্লিক করুন প্রতিবেদনটি পড়তে)
(ডিসক্লেমার: বিহার নির্বাচনের ফলাফলের আগে abp নিউজ বিহার নির্বাচনের বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার জন্য রাজ্যের ১৫০ জন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে। সাংবাদিকদের মতামতের ভিত্তিতেই প্রতিটি জেলার জয়-পরাজয়ের হিসাব তৈরি করা হয়েছে।)