বিজেন্দ্র সিংহ, বিহার : SIR-এর পর প্রথম বিধানসভা নির্বাচন হল বিহারে। আর তাতেই গেরুয়া সাইক্লোন। BJP-JDU জোট প্রায় ঝোড়ো ইনিংস খেলে পার করল ডবল সেঞ্চুরি। প্রথমে কড়া টক্কর দিয়েও পরে হালে পানি পেল না RJD-কংগ্রেস জোট।
২০১৫-র নির্বাচনে ১৫৭টি আসনে লড়াই করে ৫৭টি-তে জিতেছিল বিজেপি। ২০২০ সালে ৭২টি আসনে জিতে জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের দলকে টপকে যায় তারা। আর এবার গতবারের মার্জিন আরও বাড়িয়ে এবার ৯০-এ পৌঁছে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি। দুপুর তিনটের ট্রেন্ড বলছে, বিজেপি এগিয়ে ৯২ টি আসতে আর নীতীশের দল ৮০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছেন। সারা দেশের কাছে পরিষ্কার কাকে ফের কুর্সিতে চেয়েছে বিহারের মানুষ। অন্যদিকে কাজে এল না কাজে এল না বিহারে রাহুল গান্ধীর 'ভোটার অধিকার যাত্রা'। গতবারের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকে নীচে নেমে গেল RJD । সেই সঙ্গে ভরাডুবি হল কংগ্রেসেরও । ২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনে ৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৭ আসনে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। ৫ বছর পর, ৭০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমে হয় ১৯। আর এবার ৬১টি আসনে লড়াই করে মাত্র ৪টি আসনে জয় পেয়েছে তারা। আর এই সব কিছুর পিছনেই নীতীশ ও মোদির যৌথ ম্যাজিককেই ক্রেডিট দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।
মঙ্গলবার বিহারে ছিল শেষ দফার ভোট গ্রহণ। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ১২২টি আসন। অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাই মহাজোটের তুলনায় NDA-কে এগিয়ে রাখে। পোস্টাল ব্যালট খুলতেই এনডিএ এক কদম, এক কদম করে এগিয়ে যায়। একটা সময় মহাগঠবন্ধনের সঙ্গে কাঁটে-কা-টক্কর হলেও দ্রুত ব্যবধান বাড়ায় বিজেপি ও জেডিইউ। দ্রুত এগোতে এগোতে মোদি-নীতীশের দলের জোট ২০০ আসনেরও বেশি আসনে এগিয়ে যায়। আর কমতে থাকে আরজেডি ও কংগ্রেসের এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা। শেষ পাওয়া ট্রেন্ড অনুসারে, গত বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে BJP-JDU জোট জিতেছিলে ১২৪টি আসনে, এবার জিতছে ২০৪টি আসনেই। গতবার বিরোধী মহাজোটের ঝুলিতে যেখানে গেছিল ১১১টি আসন, এবার তারা পেতে পারে মাত্র ৩২টি। অন্যান্য জিতছে ৬টি আসনে।
পড়শি রাজ্যের এই ফলাফলের প্রভাব কি পড়বে এরাজ্যের ভোটে? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের আনাচে কানাচে।