রাঘোপুর (বিহার) : পারিবারিক ঘাঁটি রাঘোপুর কেন্দ্রেই পিছিয়ে বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ও RJD নেতা তেজস্বী যাদব। একটা সময় বিজেপি প্রার্থীর থেকে প্রায় ১৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়েছিলেন। যদিও, সেই ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন তিনি। দুপুরে তিনি মাত্র ১০০ ভোটে পিছিয়ে। ভোটের সম্পূর্ণ ফলাফলের দিকে এখন নজর বিহারবাসীর। কিন্তু, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী সতীশ কুমার যাদবের দিকে নজর এখন সকলের। কারণ, এই সতীশ কুমারই ১৫ বছর আগে চমকে দিয়েছিলেন। সেবার তিনি লালু যাদবের স্ত্রী রাবড়িকে পরাস্ত করেছিলেন। এই রাঘোপুর কেন্দ্র থেকেই। 'জায়ান্ট কিলার' তকমা নিয়ে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির হাতছানি আরও একবার রয়েছে তাঁর কাছে।
RJD থেকেই নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সতীশ কুমার। যাদব সম্প্রদায়ের কাছে একজন প্রভাবশালী নেতা তিনি। রাজ্যে ভোটের প্রায় ১৫ শতাংশ ভোট এই সম্প্রদায়ের। ২০০৫ সালে জনতা দল ইউনাইটেডে নাম লেখান সতীশ কুমার। রাঘোপুর কেন্দ্রে দাঁড়ান। প্রথম দফায় যদিও বাজিমাত করেছিলেন রাবড়ি দেবী। সেই ভোট ২৫ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন লালু-পত্নী। ২০১০ সাল ছিল 'বদলার-বছর।' ১৩ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে শেষ করেন সতীশ কুমার। ২০১৫ সালে নিজের আসন অক্ষত রাখার চেষ্টা করেন। তবে, সেবার বিজেপির জার্সিতে। যদিও শিবির বদলে লাভ হয়নি তাঁর। ২০১৫ ও ২০২০-র নির্বাচন তিনি দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিলেন। দুবার হেরেছিলেন তেজস্বীর কাছে। উভয় ক্ষেত্রেই ৪০ শতাংশের কম ভোট পান। যদিও ২০২৫ সালে ফের লাকি হতে পারেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিহারের দু'বারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যদি হেরে যায়ন তাহলে রাজ্য-রাজনীতিতে আরজেডি-র কাছে তা বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ, বিহারের বিরোধী শিবিরের তিনিই সবথেকে বড় মুখ বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করেই ভোটে নেমেছে মহাগঠবন্ধন। সেই লালু-পুত্রই যদি শেষমেশ জিততে না পারেন তাহলে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন I.N.D.I.A ব্লকের সমীকরণে তা বড় ধাক্কা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২৪৩টি বিধানসভা আসন বিশিষ্ট বিহারে, সরকার গড়তে প্রয়োজন ১২২টি আসন। ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে RJD পেয়েছিল ৭৫টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ১৯টি আসন। বিজেপি ৭৪টি এবং JDU ৪৩টি আসনে জিতেছিল। প্রায় সবকটি বুথফেরত সমীক্ষাতেই মহাজোটের তুলনায় তুলনায় এনডিএ-কে এগিয়ে রাখা হয়েছে। ফলাফলের, ট্রেন্ডেও সেই প্রবণতাই দেখা যাচ্ছে।