পটনা: দিনভর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বিহারের মসনদ কার? এই উত্তর পেতে বুধবার ভোররাত হয়ে গেল। যে কয়টি আসনের ফলের দিকে সকলের নজর ছিল, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হিলসা কেন্দ্র। টানটান উত্তেজনার রাতে হিলসার শিকে ছেঁড়ে নীতীশের দলের প্রার্থীর ভাগ্যেই। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরজেডির প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুসারে দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের অন্তর মাত্র ১২!
মঙ্গলবার রাতে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জেডিইউ-এর কৃষ্ণকুমারী শারন বা প্রেম মুখিয়া,  পেয়েছেন ৬১, ৮৪৮ টি ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অত্রি মুনির ঝুলিতে ৬১, ৮৩৬ ভোট। অর্থাৎ মাত্র ১২টি ভোটের ফারাক!
ইলেকশন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে পোস্টাল ব্যালটে জেডিইউ প্রার্থী পেয়েছেন ২৩২ টি ভোট। আরজেডি প্রার্থী পোস্টাল ভোট পান ২৩৩ টি।
আরজেডির অভিযোগ, তাঁদের দলের বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে জয়ের শংসাপত্র নীতীশের চাপেই দেওয়া হয়নি। আরজেডির দাবি তাদের জোট আদতে ১১৯টি আসন পেয়েছে, ১১০টি নয়।

আরজেডির দাবি, গণনার দিন রিটার্নিং অফিসার নাকি ঘোষণা করে দেন হিলসাতে আরজেডির প্রার্থী ৫৪৭ ভোটে জিতে গেছেন। তাঁকে জয়ের সংশাপত্রের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়। তখনই নাকি মুখ্যমন্ত্রীর ভবন থেকে ওই আধিকারিকের কাছে একটি ফোন আসে। তারপরই বক্তব্য পাল্টে রিটার্নিং অফিসার বলেন, আরজেডি প্রার্থীই হেরে গেছেন ১২ ভোটে! কারণ পোস্টাল ব্যালট বাতিল করা হয়েছে। একটি ট্যুইটে এই দাবি করেছে তেজস্বী যাদবের দল।