পটনা: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে ফের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের পর ঘটনাস্থল এবার বিহারের গয়া জেলা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, গণধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটি অপমানে শুক্রবার আত্মঘাতী হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গ্রামেরই একটি বাড়িতে গিয়েছিল ওই দলিত মেয়েটি। রাতে বাড়ি ফেরার সময় চারজন তাকে ধর্ষণ করে। কোনও মতে সেখান থেকে পালিয়ে মেয়েটি নিজের বাড়ি ফিরে আসে। পরিবারের সদস্যদের গণধর্ষণের কথা জানায়। মেয়েটির পরিজন জানিয়েছেম, এর পরেই সকলের অজান্ত ঘরে ঢুকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। ঘরের ভিতরে অনেকক্ষণ কোনও সাড়া না-পেয়ে সন্দেহ হয় বাড়ির লোকের। দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েটির দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, মেয়েটিকে যে চারজন ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ, তাদের মধ্যে তিন জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তারা হল রাহুল কুমার, চিন্টু কুমার এবং চন্দন কুমার। চতুর্থ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায়নি। চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে, তার মধ্যেই দলিত নির্যাতনের ঘটনা রাজনৈতিক অস্ত্র হতে চলেছে বিরোধীদের। আরজেডি সহ বিরোধী দলগুলি এই গণধর্ষণের ঘটনার উল্লেখ করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, নয়া কৃষি আইন, পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা, করোনা পরিস্থিতি—এই সব নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তার উপরে কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যের শাসক জোটের উপরে চাপ আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিল।