পটনা : বিহার ভোটে NDA-এর পারফরম্যান্সের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম। এর পাশাপাশি নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। তাঁর মতে, উনি (রাহুল গান্ধী) যত প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করবেন, তত মানুষ তাঁকে আয়না দেখাতে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর খ্যাতিকে "কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র" মানুষ, আর সহ্য করবে না। নিজের করা একটি ভিডিওয় আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণমকে বলতে শোনা যায়, "মোদিকে গালাগালি দেওয়া খুব সহজ। কিন্তু মোদি হওয়া খুব কঠিন। মোদি হতে গেলে, দেশের মাটির প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হতে হবে। আজ বিহারের মানুষ যে বার্তা দিয়েছেন, তা কেবল ভারতেই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। যতদিন আপনি (রাহুল গান্ধী) নরেন্দ্র মোদির সুনাম নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করতে থাকবেন, ততদিন দেশের মানুষ আপনাকে আয়না দেখাতে থাকবে।" তাঁর সংযোজন, "ভারতের মানুষ সবকিছু সহ্য করতে পারে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সুনাম নষ্ট করার ষড়যন্ত্র তারা আর সহ্য করতে পারে না।"
শেষ পাওয়া খবরে, ১৪৭টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। যার মধ্যে এনডিএ ১২৫টি আসনে ইতিমধ্যেই জয়লাভ করে ফেলেছে। যার অর্থ, ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে গেছে শাসক-শিবির। অন্যদিকে, মহাজোটের ঝুলিতে গেছে ১৭টি আসন এবং AIMIM জিতেছে ৫টি আসনে। ভোট গণনা এখনও চলছে।
কার্যত ভরাডুরি হল মহাজোটের। কাজে এল না 'ভোটার অধিকার যাত্রা'। বিজেপি ভোট চুরি করছে, এই অভিযোগ তুলে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিহারের বিস্তীর্ণ অংশে যাত্রা করেছিল বিরোধী শিবির। কিন্তু, তা কাজে এল না। শোচনীয় ফলাফল আরজেডিরও। কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল মহাজোট। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। বিহারে ভোট চলাকালীন মহিলাদের যখন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল, সেই সময় কমিশন "নীরব দর্শকের" ভূমিকা পালন করছিল। এমনই অভিযোগ তুলেছে তারা।
বিহারে কংগ্রেসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক অশোক গেহলৌত বলেন, "বিহারের ফলাফল হতাশাজনক, এব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। সেখানে আমি যে ধরনের পরিবেশ দেখেছি - মহিলাদের প্রত্যেককে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল; নির্বাচনী প্রচার চলাকালীনও তা দেওয়া হচ্ছিল... নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল। কেন এটা বন্ধ করা হয়নি? এটা করা উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি... এর মানে হল রাহুল গান্ধী ভোট চুরি নিয়ে যা বলেছেন, এটাই ভোট চুরি। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, যদি কারচুপি হয়, যদি বুথ দখল হয়, যদি জালিয়াতি হয় এবং অর্থ বিতরণ করা হয় - নির্বাচন কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, তারা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যোগসাজশ করছে। আজকাল অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে, প্রার্থীদের কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস এবং আরজেডির কাছে টাকা নেই। তাই, গণতন্ত্রের উপর হুমকি তৈরি হচ্ছে। নির্বাচন জেতা এক কথা, এনডিএ জিতবে এবং সরকার গঠন করবে। মোদিজি তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে কংগ্রেসের আদর্শই জাতির স্বার্থে। দেশের কংগ্রেসের প্রয়োজন। তারা (এনডিএ) নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করেছে।"