ঘরে ঢুকতেই গা শিউরে ওঠা ছবি। হাড়হিম করা ঘটনা। সপ্তাহের প্রথম দিনই ভয়ঙ্কর এক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াবো। মুজাফ্ফরপুরে সোমবার সকালে একটি বাড়ি থেকে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গ্রামবাসীরা ঘরে ঢুকে দেখেন, ঘরের সিলিং থেকে ঝুলছে বাবা ও তিন মেয়ের দেহ। ঘটনাটি মুজাফ্ফরপুর জেলার সাকরা থানা এলাকার মিশ্রৌলিয়া গ্রামের। একই পরিবারের চার জনের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে বাবা এবং তাঁর তিন মেয়ে। সকলের দেহই ঝুলন্ত অবস্থায় মিলেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাবা অমরনাথ রাম । তাঁর বয়স ৩৬-৩৭ বছর। এছাড়া রয়েছে তাঁর তিন মেয়ে। বড় মেয়ে অনুরাধা কুমারী (১১-১২ বছর), শিবানী কুমারী (প্রায় ১০ বছর) এবং রাধিকা কুমারী ( ৭-৮ বছর)। জানা গিয়েছে, অমরনাথ রাম তাঁর দুই ছেলে শিবম (৬ বছর) এবং চন্দনকেও (প্রায় ৪ বছর) গলা দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে তারা দু'জনেই বেঁচে যায়। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতেই গ্রামের লোকেরা ছুটে আসে। ঘটনাটি গভীর রাতের দিকে ঘটে।
ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র সাকরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আশেপাশের লোকজন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা এমন ঘটনায় কার্যত বাকরুদ্ধ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আশেপাশের লোকেদের থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কারণ জানার চেষ্টা চলছে।
গ্রামবাসীদের থেকে পাওয়া খবর অনুসারে, মৃত অমরনাথ রাম দীর্ঘদিন ধরে ঋণ এবং আর্থিক ভাবে ন্যুব্জ ছিল।তাদের আশঙ্কা, এই চাপ আর সইতে না পেরে ও পরিবারকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই সে এই ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নিয়েছে। যদিও তদন্তের পরেই এই মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট হবে।
যদিও অমরনাথ সম্পর্কে খুব ভাল প্রতিক্রিয়া মিলছে না। অনেকের মতেই এই অমরনাথ ছিলেন কুঁড়ে প্রকৃতির। আগে স্ত্রী রোজগার করতেন, তাতেই সংসার চলত। সকালে বেরিয়ে যেতেন। অন্য একজন ব্যক্তির মতে, " রোজ মদ্যপানের অভ্যেস ছিল তার।"
রাতে সবাই একসঙ্গে খাবার খেয়েছিল
অমরনাথের স্ত্রী মারা গিয়েছেন। ছেলে শিবম জানিয়েছে, রাতে সবাই খাবার খেয়েছিল। সে জানায়, বাবা-ই সবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। শিবমের গলার ফাঁস খুলে যেতে সে বেঁচে যায়। ভাই চন্দনের গলা থেকেও ফাঁস খুলে দেয়। আপাতত পুলিশ দুই শিশুকে নিজেদের কাছে রেখেছে।