পটনা: প্রবল বৃষ্টিতে জর্জরিত পটনা সহ বিহারের একাধিক জায়গায় বৃহস্পতিবার ‘কমলা সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৪৮-ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার, বৃষ্টি কমলেও, বহু জায়গা জলমগ্ন ছিল। বাসিন্দাদের প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। পটনা, বৈশালী, বেগুসরাই ও খাগারিয়া জেলায় আগামী ২ দিনের জন্য ‘কমলা সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাস, এই জায়গাগুলিতে ভারী থেকে অতি-ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
বিহারে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি-সংক্রান্ত ঘটনায় ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৭ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে মারাত্মক বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে, পটনা সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় বন্যা-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পটনা থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জলমগ্ন এলাকা থেকে বিপন্ন মানুষদের লাইফবোটে করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পটনার রাজেন্দ্র নগর ও কঙ্কারবাগ অঞ্চলে এনডিআরএফ-এর পাঁচটি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এমনকী, থানাও জলমগ্ন। ২টি টিমকে মোতায়েন করা হয়েছে ভাগলপুরে।
অন্যদিকে বক্সার, মুঙ্গের, বেগুসরাই, গোপালগঞ্জ, কিষাণগঞ্জ, কাটিহার, খাগারিয়া, মধুবনী, সুপৌল, বৈশালী, আরারিয়া ও দ্বারভাঙ্গায় একটি করে টিম মোতায়েন রয়েছে। বায়ুসেনার কপ্টার থেকে বন্যা-কবলিত এলাকাগুলিতে ত্রাণসামগ্রী বণ্টন করা হচ্ছে।
এদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ঘিরে শাসক শিবিরের মধ্যে তরজা বেঁধে গিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় নীতীশ প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে শরিক বিজেপি। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবির বিরোধীদের ভাষা বলছে বলে পাল্টা মন্তব্য করেছে জেডিইউ।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার অবশ্য এই বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আচমকা এত ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বিহারে এই বছর ১২-১৩ জেলায় হড়পা বান হয়েছে। গঙ্গার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। এখন আচমকা বন্যা।