পটনা: ঠিক যেন সেই মহাভারতের পাশা খেলার গল্প। দ্রৌপদীকে বাজি রাখলেন যুধিষ্ঠির। আর তিনি হেরে যাওয়ার পর দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণে মেতে উঠল কৌরব পক্ষ! এবার তেমনই ঘটল বিহারের ভাগলপুর জেলায়। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে নানা কিছু বাজি রেখে জুয়া খেলতে বসেছিল সোনু হরিজন। একটা সময়ে সে বাজি রাখে নিজের স্ত্রীকে। এক সময়ে হেরে যায়। স্ত্রীকে ‘হ্যান্ড ওভার’ করে। তার সামনে এবং তার সম্মতিতেই বন্ধুরা স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে। বছর তিরিশের গৃহবধূ স্বামীর বন্ধুদের লালসার শিকার হন। আবার স্ত্রী-র গায়ে অ্যাসিড ছিটিয়ে তার ‘শুদ্ধিকরণ’ করে সোনু।
মোজাহিদপুর পুলিশ স্টেশনের এএইচও রাজেশ কুমার ঝা জানিয়েছেন, মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তারই ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঝা বলেন, ঘটনাটি এককথায় মারাত্মক। তাই বিষয়টা জানার পরই আমরা সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর দায়ের করি এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করি। তাকে জেরা করা হচ্ছে। তার থেকে জেনে নিয়ে বাকি অপরাধীদের অবিলম্বে পাকড়াও করা হবে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে জুয়ার শর্ত ছিল, সোনু হেরে গেলে এক মাস ধরে বাকি জুয়ারিরা তার স্ত্রীকে ভোগ করবে। কিন্তু তার স্ত্রী কিছুতেই এটা মানতে পারেনি। কিন্তু সে বলপূর্বক বাকি বন্ধুদের হাতে তুলে দেয় স্ত্রীকে। ঘটনার পর মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে মোজাহিদপুরে বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল। ‘শুদ্ধিকরণ’ করতে অ্যাসিডে পুড়ে যাওয়া গায়ের চিকিৎসা চলছিল।বিশেষ জানাজানি হতে পারেনি ঘটনাটি। কিন্তু গত রবিবার মহিলা লোদিপুরে নিজের বাপের বাড়ি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং সেখানে সমস্ত কথা খুলে বলে। সব জানার পর তার বাড়ির লোকের সঙ্গে থানায় গিয়ে সে অভিযোগ দায়ের করে।