পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে ফের একবার নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।


আজ হলদিয়ায় শুভেন্দুর অরাজনৈতিক সভা ছিল। হলদিয়া হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও হলদিয়া বন্দরের জনক সতীশচন্দ্র সামন্তের ১২১-তম জন্মজয়ন্তী পালন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক।


সেখানেই শুভেন্দু বলেন, ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোনও দল বা ব্যক্তির ছিল না। আন্দোলন ছিল মানুষের, মানুষই জয়ী হয়েছে।’ তাঁর প্রশ্ন, আন্দোলন কেন ফর দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি থাকবে?’


এখানেই থেমে যাননি নন্দীগ্রামের দোর্দন্তপ্রতাপ নেতা। ফের মনে করিয়ে দেন, তিনি পদের লোভ করেন না। শুভেন্দু বলেন, ‘যারা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন শুনে রাখুন। শুভেন্দু অধিকারী কোনও পদের লোভ করে না। আমি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরও লোক আমার সভায় আসে। এই সব লোক তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম আনেনি।’


তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লবী সতীশ সামন্ত সম্পর্কেও কথা বলেন শুভেন্দু। বলেন, ‘আগে সতীশ সামন্তর জন্য কিছুই হয়নি। হলদিয়া বন্দরের নাম সতীশ সামন্তর নামে করা হোক বলেও দাবি তোলেন শুভেন্দু। বলেন, সতীশ সামন্তর আরাধ্য দেবী ছিল ভারত মাতা।


১৯৪২-এর ১৭ ডিসেম্বর এই সরকার গঠিত হয়েছিল। ১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সফলভাবে কাজ করেছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। স্বাধীনতার পর ৫ বার নির্বাচিত হন তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে। শুভেন্দু বলেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সতীশবাবুকে বহিরাগত ভাবতেন না। এটাই ভারত, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।


শুভেন্দু জানিয়ে দেন, তিনি সতীশ সামন্তর অনুপ্রেরণা বয়ে নিয়ে চলেন। বলেন, ‘আমি বর্তমান রাজনীতিবিদদের দেখে অকৃতদার নই। আমি সতীশ সামন্তকে দেখে অকৃতদার।’


শুভেন্দু জানিয়ে দেন, বাংলা-বাঙালি তাঁর পরিবার। বলেন, ‘আমার পরিবার ২-১ জনের ছোট পরিবার নয়। আমার পরিবার বাংলা-বাঙালির পরিবার।’


ব্যক্তি আক্রমণে বিশ্বাস করেন না বলেও জানান শুভেন্দু। বলেন, ‘ব্যক্তি আক্রমণে আমি বিশ্বাস করি না। যাঁরা ব্যক্তি আক্রমণ করছেন মানুষ বোতাম টিপে চট ঘেরা জায়গায় জবাব দেবে। তাদের অবস্থা বিনয় কোঙার, লক্ষ্মণ শেঠ, অনিল বসুদের মতো হবে।’