পটনা: তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তার মধ্যেই কম্বল বিতরণ করলেন মন্ত্রী। দরিদ্র মানুষের হাতে হাসিমুখে কম্বল তুলে দেওয়ার ছবি তুললেন। সেই ছবি পোস্টও করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতেই তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হল মন্ত্রীকে। তীব্র গরমে কম্বল বিতরণের পিছনে যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ। (Bihar Blanket Distribution Row)


বিহারের বাছরাওয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অহিয়াপুর গ্রাম থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। বিজেপি-র ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সেখানে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুরেন্দ্র মেহতা। তিনিই এই কাণ্ড ঘটালেন। (Bihar Minister Surendra Mehta)


গরমে কম্বল বিতরণের ছবি পোস্ট করে  সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্ত্রী লেখেন, ‘বিজেপি-র ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবসে, পৃথিবীর বৃহত্তম রাজনৈতিক দল উন্নয়নের মন্ত্র নিয়ে দেশ গঠনের কাজে ব্রতী। আজ অহিয়াপুরে মানুষের হাতে বস্ত্র তুলে দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি’।



সেখান থেকে যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে বহু মানুষকে সভাস্থলে জড়ো হতে দেখা গিয়েছে। প্রায় শতাধিক পুরুষ ও মহিলা মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতাদের হাত থেকে কম্বল গ্রহণ করেন। দরিদ্র মানুষ গরমে কম্বল নিতে ভিড় করলেও, তীব্র দাবদাহে মানুষকে কম্বল দেওয়ার প্রয়োজন কেন পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 


গত ৬ এপ্রিল বিজেপি-র প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। সেই দিন বিহারে পারদ প্রায় ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়। ওই দিন কম্বল বিতরণ নিয়ে মন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন সিপিআই বিধায়ক অওধেশ রাই।  তাঁর বক্তব্য, “অটলবিহারি বাজপেয়ীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর কম্বল বিতরণ করলে মানা যেত। মানুষ অন্তত ব্য়বহার করতে পারতেন।  কিন্তু জ্বলন্ত সূর্যের নীচে দাঁড়িয়ে কম্বল বিতরণ করতে দেখে আমি স্তম্ভিত। খেলার মাঠের উন্নয়ন নেই, শিশুদের ক্রীড়া পরিষেবা দেওয়ার নাম নেই কিন্তু!”


চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। সেই জন্যই তীব্র গরমে কম্বল বিলি করতেও মন্ত্রী পিছপা হননি বলে দাবি অওধেশের। তাঁর মতে, এসব নাটক করে মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না। রাস্তার অবস্থা বেহাল, ধুলোয় হেঁচে-কেশে সারা মানুষ, কোনও কাজ হয়নি। সুরেন্দ্র এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।