মুজফফরপুর: নাবালিকা ধর্ষিতাকে সদ্যোজাত সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার নির্দেশ দিল পঞ্চায়েত। ঘটনাটি সামনে আসার পর গত জুলাই মাসে মুজফফরপুর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। নিগৃহীতার অভিযোগের ভিত্তিতে এক মুসলিম ধর্মগুরু-শিক্ষক ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় ও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কেউই এখনও পর্যন্ত ধরা না পড়ায় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয় নিগৃহীতা নাবালিকা। তার সন্তানের বাবা কে, তা নির্দিষ্ট করে জানতে ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তোলে। একমাত্র তাহলেই জানা যেবে, তার ও সন্তানের দায়িত্ব কে নেবে। এরপরই নাকি পঞ্চায়েত অভিযোগকারিণীকে তাঁর সন্তানটিকে বিক্রি করে দেওয়ার নিদান দেয়। ঘটনাটি পুলিশের কানে গিয়ে পৌঁছানোর পর, বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এফআইআর-এ বলা হয়েছে, ওই মুসলিম ধর্মগুরু অভিযোগকারিণীর বাড়িতে খাবার পাঠাতেন। অভিযোগ, এরকমই একদিন ওই খাবার খেয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে মেয়েটি। তারপরই অচেতন অবস্থায় ধর্ষণ করা হয় তাকে। ধর্ষণের ভিডিও তোলা হয়। সেটি দেখিয়েই মেয়েটিকে নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ। এই খবর জেনে যাওয়ার পর এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিও তাকে ধর্ষণ করে, এফআইআর-এ জানিয়েছে নিগৃহীতা। তাই সন্তানটির আসল বাবা কে, তা নিয়ে নিজেও সংশয়ের মধ্যে রয়েছে সে।