কলকাতা: ফের ট্রেন সফরে আতঙ্ক। এবার যাত্রিবাহী ট্রেনের মধ্যেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। বুধবার রাতে ভাগলপুর-দ্বারভাঙ্গা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের একটি কামরায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।


পিটিআই সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের জেরে চার জন জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছে। বিস্ফোরণের সময় সমস্তিপুর রেল স্টেশনের কাছে ছিল ট্রেনটি।


সমস্তিপুরের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বিনয় শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, যখন ভাগলপুর-দ্বারভাঙ্গা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস আউটার সিগনালে ছিল তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত কামরায় পৌঁছয় আরপিএফ এবং জিআরপির টিম। পিটিআই সূত্রের খবর, কামরার মধ্যে একটি আপার বার্থে একটি ব্যাগ রাখা ছিল। সেখান থেকেই ধোঁয়া বেরতে দেখা গিয়েছিল।        


আহত যাত্রীদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে ট্রেনটিকে দ্বারভাঙ্গা নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছনোর পরে ক্ষতিগ্রস্ত কামরা সব যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই বেরিয়ে আসে তথ্য। PTI সূত্রের খবর, সমস্তিপুরের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার জানিয়েছেন জিজ্ঞাসাবাদের জানা গিয়েছে, অরবিন্দ মণ্ডল এবং নবেন্দু মণ্ডল নামে মধুবনী জেলার বাসিন্দা দুই যাত্রী স্বীকার করেছেন যে তাঁরাই ওই ব্যাগের মালিক। ব্যাগে বারুদ ছিল হলে তাঁরা স্বীকার করেছেন জিজ্ঞাসাবাদে। কিন্তু ট্রেনে বারুদ কেন?  


সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, তদন্তে জানা গিয়েছে ওই দুইজন বাজি তৈরির সঙ্গে যুক্ত। উৎসবের মরসুমে বাজির চাহিদা আকাশছোঁয়া। সেই কারণেই বারুদ নিয়ে যাওয়ার হচ্ছিল বলে জানিয়েছে ওই দুজন। পিটিআই সূত্রের খবর, দুইজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। তদন্তকারীরা ওই ব্যাগ এবং আরও কিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে।                 


বারবার ট্রেনে বিপদ!
বারবার ট্রেনে বিপদের ঘটনা ঘটছে। কখনও দুর্ঘটনা ঘটছে। কখনও আগুন লাগছে। বারবার ভোগান্তি ও আতঙ্কের মধ্যে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। কয়েকদিন আগেই পাতালকোট এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছিল। তারও আগে ডাউন বেঙ্গালুরু সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসে আগুন লাগে। গত সেপ্টেম্বরে প্রান্তিক স্টেশনের কাছে একটি এক্সপ্রেস থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা গিয়েছিল। বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও দগদগে। তারপরেও বেশ কিছু ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটল বিহারে।    


আরও পড়ুন: চন্দ্রযান-৩ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেসামাল, পৃথিবীতে ফিরল উৎক্ষেপক যন্ত্রের অংশ, প্রশান্ত মহাসাগরে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা