তিরুঅনন্তপুরমের এই প্রতিষ্ঠান করোনা ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। তিরুঅনন্তপুরমেই তৈরি হয়েছে এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, এই গবেষণা কেন্দ্রের নাম তাঁরা রাখতে চলেছেন আরএসএসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা গোলওয়ালকরের নামে, নাম হবে শ্রী গুরুজি মাধব সদাশিব গোলওয়ালকর ন্যাশনাল সেন্টার ফর কমপ্লেক্স ডিসিজ ইন ক্যান্সার অ্যান্ড ভাইরাল ইনফেকশন।
এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে কেরলের সিপিএম সরকার এবং কংগ্রেসস। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন হর্ষবর্ধনকে চিঠি লিখে গোলওয়ালকরের নামে বায়োটেক সেন্টারের নাম না রাখার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন, RCGB আগে কেরল সরকার চালাত, পরে তা কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাজ্য চায়, কোনও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বৈজ্ঞানিকের নামে এর নামকরণ হোক। বিতর্কে যোগ দিয়েছে কংগ্রেসও। তিরুঅন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর নতুন ক্যাম্পাসের নাম গোলওয়ালকরের নামে করায় আপত্তি করেছেন। এ নিয়ে তিনিও চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নকে। তাঁর দাবি, সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতার নামে ক্যাম্পাসের নাম রাখলে তিরুঅনন্তপুরমের মানুষের অপমান হবে, বরং তার নামকরণ হোক তিরুঅনন্তপুরমে জন্ম নেওয়া বৈজ্ঞানিক পি পাল্লুর নামে।
কেরলে আগামী বছর বিধানসভা ভোট। তার আগে এই নামকরণ বিবাদ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হতে পারে। বিজেপি গোলওয়ালকরকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের ধারক মনে করে, উল্টোদিকে কংগ্রেস, সিপিএম বলে, তিনি ঘৃণার রাজনীতি করতেন।