শ্রীরামপুর: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হুগলির শ্রীরামপুর। বিজেপি নেতার নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে লাঠি চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের। আহত কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। ঘটনার প্রতিবাদে ধর্নায় বসেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঘটনার সূত্রপাত, রবিবার রাত আটটা নাগাদ বল্লভপুরের একটি আবাসনে। আবাসন থেকে গাড়ি বের করছিলেন বিজেপি নেতা কবীরশঙ্কর বসু। সেই সময় আবাসনের সামনে বৈঠক করছিলেন পুরসভার কর্মী, তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়ি বের করা নিয়ে শুরু হয় বচসা। বচসার মধ্যেই বিজেপি নেতার দেহরক্ষীরা তৃণমূলকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন বলে অভিযোগ।

তৃণমূলের দাবি, লাঠির আঘাতে আহত হন কয়েকজন দলীয় কর্মী। এরপরই এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলকর্মীরা। ওই সময় বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন এলাকার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীদের গ্রেফতারির দাবিতে ধর্নায় বসেন তিনি। লাঠি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতার দাবি, তৃণমূলই ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ। একদিকে বিজেপির হুঁশিয়ারি। অন্যদিকে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ। রবিবারই পটাশপুর থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “রাজ্য পুলিশ- দিদি এবং ভাইপো যারা রয়েছেন, প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা জেল নির্দিষ্ট করে রেখেছি। যারা বেশি ধরনের কাজ করেছে তাদের জন্য ভুবনেশ্বর খোলা আছে। ২১-আর কয়েকটা দিন বাকি। মার্চ-এপ্রিলে ভোট। সেই ভোটে জিতে নতুন এবং সোনার বাংলা গড়ব।“

বারুইপুরের মঞ্চ থেকে আবার যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী বলেন, “ভয় দেখানোর রাজনীতি বাংলায় চলবে না। আমাদের মাথার উপর একটাই নাম মমতা। বাংলাকে সোনার বাংলা করার স্বপ্ন দেখেছেন মমতাই।“ তিনি এ-ও বলেন যে, রাম ও রহিম ভেদাভেদকে তুলে ধরে বাংলায় ভোটে জেতা সম্ভব নয়।

সেই রাজনৈতিক উত্তাপের রেশই যেন রবিবার রাতে ছড়িয়ে পড়ল হুগলির শ্রীরামপুরে।