গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বোলপুর : বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বীরভূমে একের পর এক নেতা-কর্মীর অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়ে গেছে। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন। সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদার ছেলে বুদ্ধদেব হাঁসদা আজ সিপিএম ছেড়ে অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।


এদিন তাঁর পাশাপাশি প্রায় তিন হাজার বিজেপি সমর্থক যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যার মধ্যে রয়েছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক মানস মুখোপাধ্যায়ও। বোলপুরে তৃণমূল জেলা কার্যালয় অনুব্রত মণ্ডল তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন।


বুদ্ধদেবের দাবি, তাঁর বাবার অনুমতি নিয়েই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তিনি উন্নয়নের শরিক হতে চান। যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা জানিয়েছেন, এটা তাঁর ছেলের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।


এদিকে মনসা হাঁসদার দলবদল নিয়ে রামচন্দ্র ডোম বলেছেন, উনি পার্টির সদস্য নন। ওঁর বাবার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন ছেলে অনেকদিন আগে থেকেই আলাদা থাকে। আর ছেলের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে উনি সহমত নন।


প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক বিজেপি কর্মীর তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক দেখা গিয়েছে। তবে এসব ঘিরে উঠেছিল ভয় দেখিয়ে দলবদল করানোর অভিযোগ।


কখনও গঙ্গাজল ছিটিয়ে তৃণমূলে নেওয়া, তো কখনও যোগদানের সময় ধান, তুলসি হাতে ধরিয়ে শপথ গ্রহণ করানো হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার আরও অভিনব পদ্ধতি দেখা গিয়েছে। যেমন- স্যানিটাইজ করিয়ে দলবদল করানো। তার আগে মাইকে ভুল স্বীকার করে তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছে নানা জায়গায়। কখনও আবার মাথা মুড়িয়ে তৃণমূলে ফেরার ঘটনাও সামনে এসেছে। 


এছাড়া বীরভূমের লাভপুরে শতাধিক বিজেপি কর্মী, সমর্থক যোগ দেন তৃণমূলে। যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক। ভয় দেখিয়ে বিজেপি কর্মীদের যোগদান করানো হচ্ছে, এই অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূল দাবি করে, উন্নয়নের কাজে সামিল হতেই দলবদল।