এই হল হাসিনা, সুধারি আর চান্দু মৌর্যের কাহিনি।
চান্দু পেশায় কৃষক। একই মন্ডপে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে হাসিনা, সুধারির। ঘটনার কথা চাউর হতে দেরি হয়নি।
কাহিনির সূত্রপাত হয় বছরখানেক আগে। চান্দুর সঙ্গে একদিন আলাপ হয় সুধারির। আলাপ জমে পরিণত হয় প্রেম, পরিণয়ে। দুজনে সিদ্ধান্ত নেন, একসঙ্গে থাকবেন। সেইমতো চলছিল। ঠিক এক মাসের মাথায় চান্দু একদিন ঘরে এনে তোলেন হাসিনাকে।
সুধারি জানিয়েছেন, চাষের কাজে তাঁদের গ্রামে এসেছিলেন চান্দু। সেই প্রথম দেখা। আর হাসিনা চান্দুর গ্রামে এসেছিলেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে।
কিন্তু কোনও অশান্তি, বিবাদ হয়নি সুধারি, হাসিনার। তিনজন এক ছাদের নিচেই থাকছিলেন। বছরখানেক এভাবে চলার পর চান্দু ও তাঁর পরিবার ঠিক করে, এবার বিয়ে করে অনুষ্ঠান হবে। বিয়ের আমন্ত্রণপত্রও ছাপা হয়। যদিও দুই মহিলার একজনের পরিবারের কেউই আসেননি, গোটা গ্রামের ৬০০-৭০০ লোক অনুষ্ঠানে সামিল হন। তিনজন এখন সুখে-শান্তিতেই দিন কাটাচ্ছেন। মাঠে চাষের কাজ করেন।
আরেক চমকে দেওয়ার মতো ঘটনার সাক্ষী থেকেছে কর্নাটকের চিক্কামাগালুরু জেলা। সেখানকার তারিকেরে তালুকের এক গ্রামে বিয়ের আসর থেকে আচমকা পালিয়ে যান পাত্র। নবীন নামে ছেলেটিকে তাঁর প্রেমিকা ভয় দেখান, তিনি ওই বাড়ির মেয়েকে বিয়ে করলে সেখানকার আমন্ত্রিতদের সামনেই তিনি বিষ খেয়ে মরবেন। ভয়ে নবীন নিজের বিয়ে ফেলে প্রেমিকার কাছে ছোটেন। আর পাত্রী কী করবেন তখন? তাঁর বিয়ে দেওয়া হয় বরযাত্রী দলের সঙ্গে আসা এক ব্যক্তির সঙ্গে।