নিউদিল্লি: ভালবাসা থাকলে বিশ্বাস থাকবে কিংবা বিশ্বাসে ভালবাসা আছে, এমন বিষয় তর্কেই খাটে। কিন্তু তার একেবারে রিয়েল লাইফ পরীক্ষা! আজব পদ্ধতিতে ভালবাসার বিশ্বাসের পরীক্ষা নিলেন এক যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি অসাধারণ স্টান্টের ভিডিও নিয়ে উত্তাল নেটদুনিয়া। 


ভালবাসলে সবকিছু করা যায় এমন 'রোমান্টিক' প্রবাদকে বিশ্বাসে পরিণত করতেই তাজ্জব কাণ্ড ঘটালেন রাশিয়ার যুবক। সের্গেই কোসেনকো ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যাতে দেখা যাচ্ছে যে তিনি তাঁর গাড়ির ছাদে বান্ধবীকে বেঁধে মস্কোর রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন।   


একটি সবুজ বেন্টলির ছাদে দড়ি দিয়ে গার্লফ্রেন্ডকে বেঁধেছেন। এমনকী নিজের হাতে হাতকড়াটি প্রেমিকের হাতেও পরানো হয়েছিল। মহিলা যাতে চিৎকার না করতে পারে সেই কারণে মুখ বন্ধ করা হয়েছিল সেলোটেপ দিয়ে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায় রাশিয়ায় অনেক দম্পতিরাই এমন 'ট্রাস্ট টেস্ট' করে থাকে। 



যদিও এই ঘটনা দেখে ক্ষুদ্ধ রাস্তার দর্শক ও পথচারীরা। সোমবার শেয়ার করার পর থেকে, ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে ১৪ লক্ষেরও বেশি ভিউ হয়েছে। যদিও অনেকে ক্লিপটি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল। তবে অন্য নেটিজেনরা এটিকে বিপজ্জনক স্টান্ট হিসেবে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।


নেটিজেনদের অনেকেই এই ঘটনাকে ভাল চোখে দেখেননি। অনেক নেটিজেনের বক্তব্য 'এতে মজার কি আছে, বরং মারাত্মক বিপজ্জনক স্টান্ট এটি। যা কখনও করা কাম্য নয়।" 


ল্যাডবাইবেলের তরফে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। মস্কো স্টেট ট্রাফিক ইন্সপেক্টরেটের কর্মীরা ইন্টারনেটে পোস্ট করা একটি ভিডিওর সত্যতা যাচাই শুরু করেছে। কীভাবে যেখানে একটি মেয়েকে চলন্ত গাড়ির ছাদে বেঁধে রাখা হয়েছে।


প্রাথমিক তদন্তেও দেখা গেছে যে স্টান্টের জন্য ব্যবহৃত বেন্টলি গাড়িটি কোসেনকোর নিজের নয়। প্রকৃতপক্ষে এই বিলাসবহুল গাড়িটি ধার করা।