কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: গ্যাস ট্যাঙ্কার লিক করে বিপত্তি। আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়।  আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ বর্ধমান শহরের তেলিপুকুরে দু-নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই ঘটনা ঘটে। 


পুলিশ সূত্রে খবর, লখনউ থেকে কলকাতা আসছিল কার্বন ডাইঅক্সাইড বোঝাই ট্যাঙ্কারটি। রাস্তায় আচমকাই ভালভ লিক করে প্রবল বেগে গ্যাস বেরোতে থাকে। গোটা এলাকায় ঢেকে যায় গ্যাসে। 


তীব্র গতিতে ট্যাঙ্কার থেকে গ্যাস বের হয় শুরু হয়। জাতীয় সড়ক পার্শ্ববর্তী এলাকা সাদা ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। চাদরের মতো সাদা ধোঁয়ায় পুরো এলাকা ঢেকে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনেকের মধ্যে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ভয়ে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান অনেকেই। ভোরবেলাতে যে'কটি চায়ের দোকান খুলেছিল, সেগুলি বন্ধ করে দিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায় দোকানদাররা।


ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কের দু'দিক আটকে দেওয়া হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ২ নং জাতীশ সড়কের দুটি লেনই। আটকে দেওয়া হয় জাতীয় সড়কের নীচ দিয়ে যাওয়া বর্ধমান আরামবাগ রোডও।


এরপরই গ্যাস নিষ্ক্রিয় করে গাড়িটিকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষপর্যন্ত প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। 



গত জুন মাসে বার্নপুরে ইসকোর কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক করে মৃত্যু হয় দুই শ্রমিকের। গুরুতর অসুস্থ হন আরও তিনজন। 


ইসকোর কোকোওভেন ১১ নম্বর ব্যাটারিতে মেরামতির কাজ চলছিল। তখনই সিএনজি গ্যাস প্ল্যান্টের ওই চেম্বারে আচমকা ঝাঁঝালো গন্ধ পান কর্মরত শ্রমিকেরা। 


কাজ করতে করতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন শ্রমিক। একে একে বাকিরাও অসুস্থবোধ করতে শুরু করেন। কয়েকজন ওই জায়গা ছেড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। 


দুর্ঘটনাস্থল থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার করে বার্নপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁদের তৎক্ষনাৎ অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 


বার্নপুর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হয় তাঁদের। তবে সেখানেই ওই দুই শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।