অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, ঝাড়গ্রাম: মাঠ এক, প্লেয়ার এক, শুধু পতাকাটাই আলাদা। সভা মঞ্চ থেকে যখন তৃণমূলকে তোপ দেওয়ার পরের দিনই আক্রমণের মুখে পড়ল বিজেপি। বুধবার সভা ছিল শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের। ঝাড়গ্রামের জামদা সার্কাস ময়দানে সভা হয়। বৃহস্পতিবার সেই মাঠেই জনসভা করে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। বৃহস্পতিবারের আকর্ষণ ছিল ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন।


বুধবারের সভা থেকে যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে।  বৃহস্পতিবারের সভার আক্রমণের মূল লক্ষ্য আবার বিজেপিই। বিজেপির সভাতে সার্কাস ময়দানে তিনটি মঞ্চ করা হয়। সারা মাঠ ঘিরে ফেলা হয় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে। গেরুয়া কাপড়ে মোড়া হয়েছিল মঞ্চ তিনটি। আর তার ঠিক পরদিন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কর্মসূচি একই জায়গায়। ফলে নতুন করে মঞ্চ খোলা মঞ্চ বাঁধার চেষ্টা না করে সেই ডেকোরেটরের সঙ্গে যোগাযোগ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। ফলে বৃহস্পতিবারের জ এমএম-এর কর্মসূচিতেও ছিল ওই তিনটে মঞ্চই। শুধু গেরুয়ার বদলে মঞ্চ সাজানো হয়েছিল সবুজ কাপড় দিয়ে।

শুধু মঞ্চই নয়, বিজেপির সভার দিন মাঠে যে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই লোকনাথ সাউন্ড এর সঙ্গেই দ্বিতীয় দিন যোগাযোগ করে জেএমএম। বুধবার বিজেপি জঙ্গলমহলের মানুষদের পঞ্চায়েত লোকসভা নির্বাচনের মতো বিধানসভাতেও তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়। পাল্টা জেএমএম-এর পক্ষ থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দেওয়া হয়। জঙ্গলমহলের মানুষ যেন তাদের বেছে নেয়, সেই আহ্বান দেয় তারা।