নয়াদিল্লি: নির্বাচনে একের পর এক জয় এসেছে বিজেপির। একাধিক ভোটে বিরোধীদের কার্যত নিশ্চিহ্ন করে জয় পেয়েছে বিজেপি। ভোটবাক্সে উপচে পড়েছে ভোটারের সমর্থন। প্রায় একই ছবি ইলেক্টোরাল বন্ডের ক্ষেত্রেও। সেখানেও অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধীদের অনেক পিছনে ফেলেছে বিজেপি।


২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্য়মে বিজেপি অনুদান পেয়েছে ১৩০০ কোটি টাকার মতো। ওই সময়ে কংগ্রেসের এই ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্য়মে যা পেয়েছে তার থেকে অন্তত সাত গুণ বেশি।


২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিজেপি অনুদান পেয়েছে মোট ২১২০ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৬১ শতাংশই এসেছে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে। নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট যা জমা পড়েছে তাতে এমন তথ্য়ই দেওয়া হয়েছে।


২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে বিজেপির অনুদান ছিল ১৭৭৫ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে বিজেপির মোট আয় ছিল ২৩৬০.৮ কোটি টাকা। ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে সেই টাকার পরিমাণ ছিল ১৯১৭ কোটি টাকা।  


অন্যদিকে কংগ্রেস ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্য়মে পেয়েছে ১৭১ কোটি টাকা। যা ২০২১-২২ অর্থবর্ষের তুলনায় কমেছে। ওই অর্থবর্ষে কংগ্রেস পেয়েছিল ২৩৬ কোটি টাকা।


বিজেপি আর কংগ্রেস এই দুটোই স্বীকৃত সর্বভারতীয় দল


স্বীকৃতি রাজ্য দল সমাজবাদী দল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্য়মে পেয়েছে ৩.২ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই বন্ডের মাধ্যমে ওই দল কোনও অনুদান পায়নি।                    


আরও একটি স্বীকৃতি রাজ্য দল TDP- তারা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্য়মে ৩৪ কোটি টাকা পেয়েছে। যা গত অর্থবর্ষে তারা যে পেয়েছিল তার ১০ গুণ।                 


গত অর্থবর্ষে বিজেপি সুদের মাধ্যমে ২৩৭ কোটি টাকা পেয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের তুলনায় যা  অনেকটাই বেশি।                     


খরচের কী হিসাব?
'election and general propaganda'- খাতে বিজেপি যা খরচ করেছে তার মধ্যে হেলিকপ্টার ও বিমানের জন্য ৭৮.২ কোটি টাকা। যে খাতে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে খরচ হয়েছে ১১৭.৪ কোটি টাকা।      


বিজেপি প্রার্থীদের অর্থ সাহায্যের খাতে ৭৬.৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে যা ছিল ১৪৬.৪ কোটি টাকা।


আরও পড়ুন: KYC আপডেটের জন্য ফোন আসছে? কী করবেন? বলছে RBI