শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: চলতি বছরে কর্নাটক-সহ (karnataka) একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (assembly election)। বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট। তবে বিজেপির পাখির চোখ ২০২৪-এর (2024 General Election) লোকসভা ভোটের দিকে। সূত্রের খবর, সেই লক্ষ্যেই, এবার ভোট কুশলী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছে বিজেপি! এবং তাতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে বাংলা-সহ পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের দিকে।


কেন এই চুক্তি?
বিজেপি সূত্রে শোনা যাচ্ছে, চব্বিশের সাধারণ নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির ফিরে আসা নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই জন্য প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার চুক্তি হচ্ছে। এর মধ্যে বিশেষ নজর দেওয়া হবে বাংলায়। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, 'অতীতে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বা একুশের নির্বাচনেও রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণকারী সংস্থা আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে। তৃণমূলের বহু আগে থেকে আমরা ভোটকুশলী সংস্থার সঙ্গে কাজ করি। এতে বঙ্গ বিজেপির হাতে কিছু থাকে না। কেন্দ্রীয়ভাবে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সবটাই মেনে নেওয়া হবে। আমাদের দল তৃণমূলের মতো তোলানির্ভর নয়। আমরা বিজ্ঞাননির্ভর দল চালাই। তৃণমূলের ক্ষেত্রে কৌশল নির্ধারণকারী সংস্থাই সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের ক্ষেত্রে, ওই সংস্থা পরামর্শ দেবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরাই নেব।'


প্রেক্ষাপট...
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি ১৮টি আসন জয়ের পরে সংগঠনের খোলনলচে বদলে ফেলতে পিকে-র সংস্থা আইপ্যাকের সাহায্য নেয় তৃণমূল। যার সুফল আসে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে। এই প্রেক্ষাপটে ২০২৪-এর বিজেপির রণকৌশল নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বাংলার শাসকদল। তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, 'সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী নৈবেদ্যের নাড়ু হয়ে বসে থাকবেন। যোগীর রাজ্যে যোগীর ক্ষমতা ছিল, তিনি আটকেছিলেন। অমিত শাহ চাইতেও সংস্থার লোক পাঠাতে পারেননি। এঁদের দম নেই। তাই এখানে ওঁরাই এসে কাজ করবে। শুধু বিধানসভা ভোটেই চুক্তির অর্থ ছিল ৭০০ কোটি টাকা।' এরই মধ্যে শুক্রবার রাজ্য বিজেপির নতুন অফিসের উদ্বোধন। সেখানেই কি জায়গা করে দেওয়া হবে ভোটের রণকৌশল নির্ধারণকারী সংস্থাকে? প্রশ্ন আপাতত এটাই। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে দুই থেকে আঠারোয় নিয়ে গিয়েছিল এই রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণকারী সংস্থা। একুশের নির্বাচনেও তিন থেকে সাতাত্তরে পৌঁছে গিয়েছিল বিজেপির আসন। আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে এই সংস্থা? উত্তর দেবে সময়। 


আরও পড়ুন:'বিজেপি না ছাড়লে শুভেন্দুর মতই এজেন্সি থেকে দূরে থাকতেন বনি', বিস্ফোরক দেবাংশু