পটনা: বিহারের বৈশালীতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের(সিএএ) সমর্থনে প্রচার অমিত শাহের। বিহারে বিজেপির জোট শরিক জেডি(ইউ)-এর প্রধান নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সিএএ ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী(এনআরসি) ইস্যুতে তাঁদের ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। তা সত্ত্বেও তাঁর নেতৃত্বেই রাজ্যে বিজেপি-জেডি (ইউ)জোট আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিহারে অক্টোবরে বিধানসভা ভোট হতে পারে বলে খবর।
বিজেপি-জেডি(ইউ)য়ের ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরার চেষ্টা প্রথম ধাক্কা খায় প্রশান্ত কিশোরের কথায়। রাজনৈতিক কৌশল রচনাকারী তথা জেডি (ইউ) সহ সভাপতি আগেই সংসদে বিতর্কিত সিএএ পাশ হওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। অবস্থানে অনড় থেকে রবিবার তিনি ট্যুইট করেন, বিহারে সিএএ-এনআরসি কোনওটাই কার্যকর হবে না। একই সুরে নীতীশ বিহার ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনপিআর) প্রয়োগ করবে না বলে জানিয়ে দেন পরদিন। সব দল রাজি হলে বিহার বিধানসভায় সিএএ নিয়ে বিতর্কের পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।
শাহ আগে কয়েকটি টিভি সাক্ষাত্কারে চলতি বছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীই এনডিএ-র নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন। এই প্রথম বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে কথাটা ঘোষণা করলেন তিনি।
শাহ অবশ্য বিহারে সিএএ-র পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন আছে বলে দাবি করেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের মানুষকে বিভ্রান্ত করা বন্ধ করা উচিত। বলেন, সিএএ-র জন্য কারও নাগরিকত্ব চলে যাবে না। যাঁরা চোখের সামনে ঘরের মেয়েদের ধর্ষণ দেখেছেন, সম্পত্তি হাতছাড়া হয়েছে, নিজেদের ধর্মস্থান অপবিত্র হয়েছে, সেইসব ভারতে পালিয়ে আসা লোকজনকে সাহায্য করতেই সিএএ। লালু, মমতাদিদিকে প্রশ্ন করতে চাই, নমশূদ্র, মতুয়ারা তাঁদের কী ক্ষতি করেছেন যে, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করছেন তাঁরা!
বিহারের দলের শক্তি দেখানোর পাশাপাশি রাজ্যবাসী সিএএ-র পক্ষে, এই বার্তা তুলে ধরতে শাহের সভা সফল করার লক্ষ্যে কোমর বেঁধে নেমেছিল বিজেপি। শাহ বলেন, বিরোধী দলগুলি সিএএ-বিরোধী দাঙ্গা-হাঙ্গামা করিয়েছে, সেজন্যই বিজেপি সারা দেশে সভা করছে ওদের চক্রান্তের কথা মানু্ষকে জানানোর জন্য।