নয়াদিল্লি: আরও একবার জে পি নাড্ডাতেই (J P Nadda) ভরসা বিজেপির (BJP Keeps Faith)। 'সর্বভারতীয় সভাপতি (National Party President) পদে মেয়াদ বাড়ল জে পি নাড্ডার। '২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নাড্ডার নেতৃত্বেই লড়বে গেরুয়া শিবির। '২৪-এর জুন পর্যন্ত দলের সর্বভারতীয় সভাপতি থাকবেন তিনি, সিদ্ধান্ত বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আশা, 'নাড্ডার নেতৃত্বে ২০১৯-এর থেকেও ২০২৪-এ বেশি আসনে জয়ী হবে বিজেপি।'
কর্মসমিতির বৈঠকে কী বলেন প্রধানমন্ত্রী?
দিল্লিতে গত কাল থেকেই ২ দিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই তাতে বাংলায় 'হিংসার' প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, তিনি বলেন 'যেভাবে বাংলায় বিজেপি কর্মীরা লড়াই করছেন, তা প্রশংসনীয়'। লড়াই চলবে, এই বার্তাও দেন ওই বৈঠকে। ফলে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে দলের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক স্তরে খুব বেশি বদলের কথা যে ভাবা হচ্ছে না, সে রকম একটা ইঙ্গিত ছিলই। আজ সেই ইঙ্গিতেই সিলমোহর পড়ে যায়। যদিও এ রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র তথা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জে পি নাড্ডাকে মোটেও ওই পদে দেখতে চাননি।
কী বলেছিলেন কুণাল ঘোষ?
নাড্ডার তুলনায় গেরুয়া শিবিরের দলীয় সর্বোচ্চ পদে তিনি যে দিলীপ ঘোষকে দেখতে বেশি স্বচ্ছন্দ, সে কথা রাখঢাক না করে গত কালই জানিয়ে দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। বিদ্রুপের সুরে বলেন, 'জে পি নাড্ডা তো নিজের রাজ্যেও ভোটে হেরেছেন, উনি কেন ফের সভাপতি হবেন? দিলীপ ঘোষ ভোটেও জিতেছেন, আবার নিয়মিত তৃণমূলকেও আক্রমণ করেন। মমতাদির তৈরি ইকো পার্কে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। সর্বভারতীয় সহ সভাপতি থেকে তো প্রোমোশন পাওয়া উচিত দিলীপ ঘোষের।' এটাই প্রথম বার নয়। গত সেপ্টেম্বর মাসেও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির প্রশংসা শোনা গিয়েছিল কুণালের মুখে। জানিয়েছিলেন, দিলীপের নখের যোগ্য নন, শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। সেই সময় প্রশ্ন ওঠে, তবে কি ডিভাইড অ্যান্ড রুলের কৌশলে এগোতে চাইছেন তিনি? নাকি অন্য কোনও সমীকরণ?
আপাতত অবশ্য সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত সর্বভারতীয় সভাপতির পদে নাড্ডাই।
আরও পড়ুন:পাইপ বসানোকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, দুই প্রতিবেশীর ঝামেলার জেরে বোমাবাজি বীরভূমে