নয়াদিল্লি: নির্বাচন কমিশন বিজেপি-কে ‘ভোট চুরি’তে সাহায্য় করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভারি বিরোধী দলমেতা রাহুল গাঁধী। সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে এবার সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অনিয়মের অভিযোগ তুলল বিজেপি। তাদের দাবি, ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণের আগেই ভারতের ভোটার তালিকায় নাম তোলেন সনিয়া। (Amit Malviya)

নির্বাচনমুখী বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন ঘিরে বিগত কিছুদিন ধরে তপ্ত হয়ে উঠেছিল জাতীয় রাজনীতি। সেই বিতর্কে আগুনের ঘি ঢেলেছেন রাহুল। কর্নাটকের একটি কেন্দ্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বিজেপি-র সঙ্গে নির্বাচন কমিশন স্বয়ং ‘ভোট চুরি’তে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A শিবিরের অন্য সদস্যরাও সেই অভিযোগে সরব হয়েছেন। ‘ভোট চুরি’র প্রতিবাদে রাজধানীর রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। (Sonia Gandhi)

সেই আবহেই সনিয়ার ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে কংগ্রেস ও বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণে নামল বিজেপি। বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেন, যা ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকার প্রতিলিপি বলে দাবি করেন তিনি। সেখানে গাঁধী পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে সনিয়ার নামও থাকতে দেখা যায়। অমিত লেখেন, ‘ভারতের ভোটারতালিকায় সনিয়া গাঁধীর নামের অন্তর্ভুক্তিও নির্বাচনী বিধির পরিপন্থী। অবৈধ ও বেআইনি ভোটারদের বৈধতা প্রদান এবং ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন ঘটানোর বিরুদ্ধে রাহুল গাঁধীর এই অবস্থান বোধহয় এর দরুণই’।

অমিতের অভিযোগ, ১৯৮০ সালে ভারতের ভোটারতালিকায় প্রথমবার সনিয়ার নাম ওঠে। এর তিন বছর পর ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন তিনি। যে সময় ভোটারতালিকায় তাঁর নাম ওঠে, তখনও ইতালির নাগরিক ছিলেন তিনি। আইন লঙ্ঘন করে সনিয়ার নাম ভোটারতালিকায় তোলা হয় সেই সময়। এমনকি ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হলে, তাতেও সনিয়ার নাম বেআইনি ভাবেই তোলা হয় বলে দাবি অমিতের। তাঁর দাবি, ১৯৮৩ সালের ৩০ এপ্রিলই সনিয়া ভারতের নাগরিকত্ব পান। রাজীব গাঁধীর সঙ্গে বিয়ের ১৫ বছর পর কেন ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন সনিয়া, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অমিত। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।