নয়াদিল্লি: লোকসভায় ই-সিগারেট সেবনের অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে সংসদে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। সরাসরি স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ জানান তিনি। তৃণমূলের কোন সাংসদ লোকসভায় ই-সিগারেট সেবন করেছেন, তাঁর নাম যদিও খোলসা করেননি অনুরাগ। তবে বেশ কয়েক দিন ধরেই ওই তৃণমূল সাংসদ লোকসভায় ই-সিগারেট সেবন করছেন বলে দাবি করেছেন। (Anurag Thakur)
বৃহস্পতিবার লোকসভায় অভিযোগ জানাতে ওঠেন অনুরাগ। সরাসরি স্পিকারের কাছে জানতে চান, কক্ষের মধ্যে ই-সিগারেট সেবন করা যায় কি না। স্পিকার তাঁকে জানান, যায় না। এর পরই সুর চড়ান অনুরাগ। তিনি বলেন, “দেশের সর্বত্র ই-সিগারেট নিষিদ্ধ। তার পরও ওঁদের অনুমতি দিয়েছেন? গত কয়েক দিন ধরেই বসে বসে (ই-সিগারেট) সেবন করছেন তৃণমূলের সাংসদরা। অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিন।” (E-Cigarettes)
অনুরাগের এই অভিযোগে তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভা। বিজেপি-র অন্য সাংসদরাও উঠে দাঁড়িয়ে একযোগে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। তুমুল বচসা শুরু হয়। স্পিকার সকলকে সংযত হতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “সংসদীয় রীতিনীতি এবং নিয়মকানুন পালন করতে হবে আনাদের। এমন কোনও অনুযোগ এলে, আমি পদক্ষেপ করব।”
অনুরাগ এবং বিজেপি-র অন্য সাংসদরা বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাতে চলেছেন বলে খবর। বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেন, “(ই-সিগারেট সেবন) অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কোনও সাংসদ সেবন করলে আরও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।”
ই-সিগারেট আসলে বৈদ্যুতিন অথবা ব্যাটারি চালিত ডিভাইস, যার মাধ্যমে তরল গরম হয় এবং ধোঁয়া ছাড়া যায়। সাধারণত নিকোটিন এবং ভিন্ন রকমের স্বাদ যুক্ত থাকে। ই-সিগারেট ভারতে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। ই-সিগারেট তৈরি, আমদানি, বিক্রি, বিতরণ, মজুত রাখা এবং বিজ্ঞাপন, সবকিছুই নিষিদ্ধ দেশে। যদিও বেআইনি ভাবে ই-সিগারেট এবং ভেপস দেদার বিক্রি হয়।
https://www.facebook.com/share/r/1Byb2hX1GG/
শুধু তাই নয়, দেশে প্রকাশ্যে, সকলের মাঝে ধূমপানও নিষিদ্ধ। সংসদভবন এবং সংসদভবন চত্বরেও ধূমপান করা যায় না। সংসদের নিয়মেও বলা রয়েছে, ধূমপান নিষিদ্ধ। আগে যে ‘স্মোকিং রুম’ ছিল, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। ২০১৫ সালে সেই নিয়ে তদানীন্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন সাংসদদের অনেকে।