খড়গপুর: 'সিপিএমের অত্যাচারকে ভয় পায়নি বাংলার মানুষ। তাদের পাল্টে দিয়েছে। আর এটা তো কোনো পার্টিই নয়। চোর-ডাকাত মিলে এসে তৈরি করেছে।' আবার আগুন ঝরালেন দিলীপ ঘোষ। কালীপুজোর সকালে রীতিমতো বোমা ফাটালেন দিলীপ। এবার খড়গপুরে। ১ নম্বর ব্লকের জফলা এলাকায়, চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে ফের তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বললেন, 'দিদিমণিদের রিটায়ারমেন্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।'
পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূলও। পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ২১ সালের পরে আর এই জেলায় ঢুকবে বলে মনে হয় না। সব আসনই তৃণমূল জিতবে।


শাসক-বিরোধী তরজা থেমে থাকল না কালীপুজোর সকালেও! বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদের হুঁশিয়ারি, ২১-এ খুঁজেই পাওয়া যাবে না তৃণমূলকে। চুপ করে থাকেনি তৃণমূলও। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ পাঠান-মোঘল-ইংরেজকেও ভয় পায়নি, আর এটা তো কোনও (তৃণমূল) পার্টিই নয়। জঙ্গল আগাছাকে উপড়েফেলতে বেশি দিন লাগবে না

গত বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁয় দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা চলে। সেদিনের ঘটনাকে টেনে, এদিন পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 'আজকে ভাঙবি কালকে কাচ লাগিয়ে নেব। যেদিনকে সরকার ভেঙে দেবো কোথায় যাবি।'

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুরে জিতে সাংসদ হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তারপর অবশ্য বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির থেকে খড়গপুর সদর ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। সেই খড়গপুর কি পদ্ম-পক্ষে থাকবে বিধানসভায়? উত্তর মিলবে ২১ এ।