কলকাতা: গত মাসে হাওড়ায় বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হিংসার জেরে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনল বিজেপি। লোকসভার স্পিকারের কাছে এই নোটিশ জমা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য।


সোমবারই বিজেপির উপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান বিজেপি সাংসদ। সংবাদসংস্থা এনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেজস্বী সূর্য বলেছেন, ’’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বৈরতান্ত্রিক, ফ্যাসিস্ত সরকার যাতে এবারের ভোটে বিদায় নেয়, আমরা তা নিশ্চিত করব। বিবেকবান ভারতীয়, এবং যারা ভারতের সংবিধানকে মূল্য দেন, সম্মান করেন তাদেরকে বলব পশ্চিমবঙ্গের এই ফ্যাসীবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সরব হোন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুন।‘‘


বিজেপি সাংসদের আক্রমণের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নুসরত জাহান। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ’’এই ধরনের হাস্যকর মন্তব্য চেয়ে তেজস্বী সূর্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন প্রকৃত ফ্যাসিস্ত কারা। বিজেপিতে আপনাদের যিনি বস, ২০১৪ সাল থেকে তিনি স্বৈরতন্ত্র ও ঘৃণার মাধ্যমে গোটা দেশকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছেন।‘‘


আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে নেমে পড়েছে বিজেপি। দলীয় কর্মী, সমর্থকদের খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে গেরুয়া শিবির। গত সপ্তাহেই সভা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন তিনি। এমনকি রাজ্য বিধানসভার ভোটে ২০০ আসন পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করে দিয়েছেন তিনি। সংগঠন মজবুত করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। নাগরিকত্ব আইন থেকে বিজেপি যে পিছু হটেনি তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। অতিমারির জন্য তা পিছিয়ে গেলেও, পশ্চিমবঙ্গেও এই আইন লাগু হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।