নয়াদিল্লি: আজকাল অনেকেই ত্বকের যত্ন নিয়ে খুব সচেতন। বেশিরভাগ পুরুষও ত্বকের পরিচর্যা নিয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন। কিন্তু ত্বকের যতই যত্ন করুন না কেন, তা কাজে আসতে গেলে কতগুলি বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।


সবচেয়ে বড় কথা ঘুমনোর সময় কী ভাবে শুচ্ছেন তার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। কেন আপনার ত্বক খারাপ হয়ে পড়ছে তা না বুঝেই আপনি যত্ন নিতে শুরু করেন তাহলে আপানর ত্বক আরও রুক্ষ হয়ে পড়তে পারে!


আজ আপনাদের এমন একটি বিষয়ে উল্লেখ করব তা সহজে বোঝা যায় না, এবং সে কারণে নিজের অজান্তে ত্বকের ক্ষতি করে চলেছেন।


আপনি কেমন করে শুচ্ছেন, সে বিষয়ে কি কখনও ভেবেছেন? যদি না করে থাকেন, তাহলে এবার নজর দিন, কারণ আপনি কী ভাবে ঘুমোন তার সঙ্গে আপনার ত্বকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। অবাক হলেও এটি সত্যি।


অনেকেই প্রায়ই এমন অভিযোগ করেন যে, ঘুম থেকে ওঠার পরে তাদের মুখে ব্রণগুলি বড় হয়ে যায়, মুখ খুব তৈলাক্ত দেখায় বা ত্বক শুকনো লাগে। এটা এজন্য হয়, যে বেশিরভাগ মানুষ জানেন না যে, ভুল অবস্থানে শুলে বা ঘুমোলে ত্বকের উপর তার খারাপ প্রভাব পড়ে।


যার ফলে পিম্পল ব্রেকআউট বা সময়ের আগে ত্বকের চুলকানি শুরু হয়ে যায়। তাই শোয়ার ক্ষেত্রে সঠিক অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য ঘুমনোর সঠিক অবস্থান কী।


পিঠ দিয়ে ঘুমনো


বিছানায় পিঠ রেখে ঘুমনো, শোয়ার ভালো উপায়। প্রকৃতপক্ষে, এই অবস্থানে ২০-৩০ ডিগ্রি কোণ বজায় রাখার দ্বারা, দেহে তরলের গতিবিধি সঠিক থাকে। তবে বেশিরভাগ মানুষ পাশ ফিরে ঘুমোতে পছন্দ করেন। পাশ ফিরে না শুলে ঘুম হয় না, এটাও অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু এই অবস্থান আপনার মুখের ত্বককে শুষ্ক,প্রাণহীন করে তোলে। কারণ পাশ ফিরে শুলে আপনার ত্বকের সঙ্গে বালিশের সংস্পর্শে আপনার ত্বকের ক্ষতি হয়। এমনকি বালিশে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলি আপনার ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার মুখে ফুসকুড়ি হতে পারে। সবসময় বালিশটি নরম ও পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।


বালিশে মুখ ঢেকে ঘুমনো


আপনি তখন শুয়ে থাকেন, তখন কোনও অ্যাক্টিভিটি হয় না। ওই সময় কোষগুলির মেরামত চলতে থাকে। তখন ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ জরুরি। এই সময় শরীরের কোনও অংশে যদি বালিশ চাপা দিয়ে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান, তা হলে ত্বকের প্রভূত ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। কারণ ওই ভাবে শোওয়ার ফলে ত্বক শ্বাস নিতে পারে না। তার প্রভাব ত্বকের উপর পড়তে থাকে।


পার্শ্ব অবস্থান


অনেক লোক পাশ ফিরে শোয়া পছন্দ করেন। কিন্তু এ ভাবে শোয়া অত্যন্ত খারাপ। শোয়ার সময় ত্বকের শ্বাস নেওয়া জরুরি। কিন্তু এ ভাবে শোবার ফলে চেহারায় খারাপ প্রভাব পড়ে। এ ভাবে শোয়ার ফলে রক্ত চলাচলেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। চোখের নীচে খালি জমতে থাকে। তাই সোজা হয়ে শোয়া অভ্যাস করুন।