মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান: জেতা আসন থেকে সরিয়ে, তাঁকে পাঠানো হয়েছিল ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র। সেখানে হারার পর থেকেই, বিজেপি নেতৃত্বের একাংশকে নিয়ে, বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।


লোকসভা ভোটে হারের পর, এবার দুর্গাপুরে গেলেন দিলীপ ঘোষ। দেখা করলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী বলেন, কয়েকবছর ধরেই বাংলায় ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে। তবে মানুষ এসব পছন্দ করছে না বলেই দাবি করেন দিলীপ। 


বিজেপি নেতার কথায়, 'যোগীজি সব থেকে ভালো শাসক ভারতবর্ষের। এত কাজ করেছে তাও মানুষ ভুলে গেল তাকে। ৫০০ টাকায় ভুলে যায় মানুষ। দুষ্কৃতীরা বুকে জিতলে তো লুটপাট চালাবে। আমরা কেন করব মানুষ বুঝে করুক গে।' 


এর আগে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'দলের ধারণা ছিল, আমি গেলে ওখানে জিতে যাব। মেদিনীপুর তো জেতা আসন। কিন্তু উল্টো হয়ে গেল ব্যাপারটা।  প্রথমে আমি রাজি হইনি, কিন্তু পার্টির নির্দেশ আমি মেনে গিয়েছিলাম।' সেই সময় দিলীপ এও বলেছিলেন, 'এ তো সবাই জানে, নতুন কিছু না। রাজনীতিতে পুরনো লোকেদের অনেক সময় ভুলে যাওয়া হয়। যারা পার্টিকে দাঁড় করিয়েছে, জিতিয়েছে ওদের ভুলে গেলে চলবে না। এটাকে মনে রাখতে হবে। আর সেটাই লোককে বোঝাবার চেষ্টা করেছি আমি। রেজাল্টটাই শেষ কথা রাজনীতিতে, অন্যকিছু না। কে কী যুক্তি দিল, তাতে কিছু যায় আসে না। রেজাল্ট, ভোট, হার-জিত, এটাই রাজনীতির শেষ কথা।' 


আরও পড়ুন, সফল অস্ত্রোপচার, বাড়ি ফিরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়


দিলীপের কথায়, 'রাতারাতি কেউ এলে, আমি দলের নেতা বানাতে পারি, জনগণের নেতা বানাতে পারি না তাঁকে। আমি প্রার্থী ঠিক করতে পারি, পার্টির স্বার্থে। জনগণ ভোট দেবে, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। নেতৃত্ব তৈরি করতে সময় লাগে, নিজেকে তপস্যা করতে হয়, দলকেও সময় দিতে হয়। সেটা না দিলে লোকটা একটা জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছে, লোকজন-কর্মীদের বুঝতে সময় লাগে, তাদের সঙ্গে টাই-আপ করতে হয়। সেটা না করলে, তাড়াতাড়ি করলে তো হয় না। সেই জন্য নেতৃত্বের অসুবিধা আছে। আমাদের বাইরে থেকে নেতা আনতে হচ্ছে।' 


তবে দিল্লি থেকে ফিরে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। এদিন কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করেন, বিজেপির একমাত্র ঘরছাড়া দিলীপ ঘোষ। এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।