নয়া দিল্লি : আশানুরূপ ফল হয়নি বিধানসভা নির্বাচনে। তারপর একের পর এক নেতার তৃণমূলে যোগদান। দলের রাজ্য সভাপতির পরিবর্তন, সব পর্ব পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ফের জোরদার শুরুর ইঙ্গিত বিজেপির। অন্তত জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক থেকে তেমনই ইঙ্গিত মিলল । পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকবে বিজেপি, বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করেন দলের কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রধান। সেখানে তিনি বলেন, "বাংলার মানুষের পাশে পাহাড়ের মত দাঁড়িয়ে আছে বিজেপি। আজ নাড্ডাজি বলেছেন, আগামীদিনে যখনই পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভোট হবে, বিজেপি বাংলাকে গণতান্ত্রিকভাবে রক্ষা করার জন্য লড়াই করবে। বাংলায় গণতন্ত্র ও সংবিধানের প্রতি মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধারের লড়াই করবে বিজেপি।"
আজ রাজধানীতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হয়। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিক শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সহ অন্যান্যরা। কর্মসমিতির বৈঠকে বাংলায় হিংসার অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। "বাংলায় ভোটের পর ৫৩ জন কর্মী খুন হয়েছেন। লক্ষাধিক কর্মী ঘরছাড়া। তা সত্ত্বেও বাংলার মানুষ বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রাপ্ত ভোট ৩৮ শতাংশ হয়েছে, ৭৭টি আসন পেয়েছে বিজেপি।" কর্মসমিতির বৈঠকে এই মন্তব্য করেন নাড্ডা। তিনি বলেন, "বাংলায় বিজেপি নতুন অধ্যায় রচনা করবে। বুথ স্তরে কর্মীদের মনের কথা শুনতে হবে।"
এই মর্মে দলের নেতাদের টার্গেট বেঁধে দেন নাড্ডা। ২৫ ডিসেম্বরের আগে বুথ স্তরে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে হবে। নাড্ডা বলেন, প্রত্যেক বুথে মন কি বাত শুনতে হবে। প্রত্যেক ভোটে বিজেপির ভোট বেড়েছে। এমনকী জম্মু ও কাশ্মীরেও বিজেপি ভাল ফল করছে বলে দাবি তাঁর।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে বিজেপি-তে রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হয় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগরতলায় অভিষেকের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে পুরনো দলে ফেরেন তিনি। তার আগে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। বেসুরো জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও।