সোমনাথ মিত্র, হুগলি: বিজেপিতে ভাঙন ঘিরে তারকেশ্বরে প্রকাশ্যে চলে এল গেরুয়া শিবিরের কোন্দল। ভাঙনের জন্য দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করলেন আরামবাগের এক বিজেপি নেতা। দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি।


দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দলের একাংশের ক্ষোভ অব্যাহত।  এবার দলে ভাঙন নিয়ে রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি গণেশ চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, যে ছবি আমরা দেখতে পাচ্ছি, এলাকায় দু তরফের সন্ত্রাস চলছে। দলের তরফে দিলীপ ঘোষ বলছে, দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাও। এটা এক ধরনের সন্ত্রাস। উল্টোদিকে তৃণমূল বলছে, আমার দলে চলে এস, না হলে ভাঙচুর।


সোমবার বিকেলে হুগলির তারকেশ্বরের বালিগোঢ়ী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৭০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়। এরপরই দলবদলকারীদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দেন।


 তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপির কৌশিক দাসের অভিযোগ,  রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেভাবে কটূক্তি করছেন আর আমাদের পাশে নেই দল। এজন্য আমরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করছি।


বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতির গলায় যখন দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সুর, তখন বিষয়টিকে আমাল দিতে নারাজ গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক।


 পুরশুড়ার   বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেছেন, তারকেশ্বরে কিছু কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন নিজেদের জীবন বাঁচাতে। যাঁরা নানা বিষয়ে দলবিরোধী মন্তব্য করছেন, তাঁদের বক্তব্য দল সমর্থন করে না। বিজেপির একটা নীতি আছে। যারা নিজের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলছে, তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।


গেরুয়া শিবিরে অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে আসতেই, ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল।শ্রমমন্ত্রী  বেচারাম মান্না বলেছেন, শেষে হলেও ভুল বুঝতে পেরেছেন গণেশ। বিজেপির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। কারণ যেখানে সর্বোচ্চ নেতারা পাগল, সেই দলের কিছু হবে না।


বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব কীভাবে সামাল দেয়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।