নয়াদিল্লি : কোভিডের ভাইরাস ছড়াচ্ছে বাতাসের মাধ্যমেও। এয়ারোসোল বাতাসের মাধ্যমে ১০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। আশঙ্কা বাড়িয়ে জানাল নতুন একটি সমীক্ষা। বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট, ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পর নতুন সমীক্ষাও বলছে, হালকা কণা হিসেবে এয়ারোসোল বাতাসে বেশ খানিকটা দূরত্ব পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। নতুন সমীক্ষা জানাচ্ছে, দূরত্বটা হতে পারে ১০ মিটার পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে ২ মিটার বা প্রায় ৬ ফুটের দূরত্ব করোনা রোখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয় বলেই জানাচ্ছে সমীক্ষা। পাশাপাশি তাদের বক্তব্য, কোভিডের এহেন সংক্রমণ ঠেকাতে ডাবল মাস্কিং একান্ত প্রয়োজনীয়। জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলা, হাত ধোয়ার মতো অভ্যাসও বজায় রেখে চলার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।


সমীক্ষায় বলা হয়েছে, একজন সংক্রমিত ব্যক্তি নিশ্বাস নিলে, কথা বললে, গান করলে, হাসলে, কাশি বা হাঁচি হলে যে ড্রপলেট বের হয় মূলত তা থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। এমনকী যাঁর উপসর্গ নেই, তিনিও সংক্রমণ ছড়াতে পারেন। তাই মাস্ক পরুন। প্রয়োজনে ডবল বা N95 মাস্ক পরা যেতে পারে। একজনের থেকে আর একজনের সংক্রমণ আটকাতে পারলে এভাবে একসময় ভাইরাস মরে যাবে। এটা সম্ভব প্রত্যেক মানুষ, সম্প্রদায়, স্থানীয় প্রশাসন পরস্পরের সহযোগিতার মাধ্যমে। মাস্ক, ভেন্টিলেশন, দূরত্ববিধি এবং স্যানিটাইজেশন- করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লড়াইয়ে জেতার অস্ত্র।


কিছুদিন আগে কার্যত একইরকম কথা বলেছিলেন কেন্দ্রের মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় অফিস, বাড়ি বা বড় পাবলিক স্পেসে যাতে বাইরের বাতাস ঢুকতে পারে তা নিশ্চিত করার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। এমনকী অল্প করে দরজা বা জানালা খুলে রাখলেও চলবে বলেছিলেন। বক্তব্যের দাবি ছিল, এর মাধ্যমে বাইরের বাতাস ঢুকবে এবং বাতাসের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে ক্রস ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা বা এক্সহস্ট ফ্যানের ব্যবহার উপকারে সবে। কারণ ভেন্টিলেশন নেই এমন কোনও জায়গায় ৩-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাস অ্যাকটিভ থাকতে পারে বলেই সমীক্ষার পর্যবেক্ষণ।